সর্বনিম্ন রাতের তাপমাত্রা দেশের উত্তরাঞ্চলে কিছুটা বেড়েছে। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে কমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আওতা বেড়েছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুই বিভাগ (১৬ জেলা) ও ছয় জেলাসহ মোট ২২ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তবে সারাদেশে ঘন কুয়াশা পরিস্থিতির ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে এরপর রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করতে পারে। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টি হতে পারে। জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও উত্তরাঞ্চলে এখনও শীতের তীব্রতা রয়েছে। তীব্র শীতে জনজীবনে জবুথবু অবস্থা। বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিকতা।
শুক্রবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। শনিবার সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি থেকে কমে হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রাতে ঢাকায় শীত অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী-অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে।
তিনি আরও জানান, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান আবুল কালাম মল্লিক।
রোববার সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। সোমবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী পাঁচদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।