আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

থিবো কর্তোয়া! রিয়ালের মাদ্রিদের জয়ের মূল নায়ক

থিবো কর্তোয়া! রিয়ালের মাদ্রিদের জয়ের মূল নায়ক

ম্যাচ শুরুর আগে  মোহাম্মদ সালাহ বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল হবে  প্রতিশোধের ম্যাচ। ফুটবল পাড়ায় তার হুঙ্কারে লড়াইয়ের উত্তাপটা ছড়িয়ে পড়েছিলো শুরু থেকেই। কিন্তু প্যারিসের মাঠে সেই উত্তাপের পাওয়া গেলো না। 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে সেই উত্তাপের  বাঁধা হয়ে দাঁড়ান  রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। গোলপোস্টের নিচে প্রাচীর হয়ে দাঁড়ালেন লিভারপুলের আক্রমণের বিপক্ষে। অলরেডদের একের পর এক আক্রমণ, অবিশ্বাস্য দৃঢ়তায় বারবারই রক্ষা পেয়ে যায় রিয়াল, বেলজিয়ান গোলরক্ষকের কল্যানে। 

ম্যাচে গোল করেছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। কিন্তু নেপথ্যের নায়ক হয়ে রইলেন থিবো কোর্তোয়া। যদিও ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেলেন তিনি। দুর্দান্ত সব সেভ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের নায়ক তিনি-ই। 

কোর্তোয়ার এই পারফম্যান্স ঠিকঠাক বোঝানো যাবে না তিনি দলের জন্য কতোটা অতুলনীয় ছিলো। বেলজিয়ান এই গোলরক্ষক সালাহ-মানে-দিয়াজদের সব আক্রমণ একাই রুখে দিয়েছেন। এদিকে ম্যাচের শুরুতে ১৬ মিনিটের সময়ই সালাহর শট বাঁদিকে ঝাপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন। সেই শুরু এরপর অবিশ্বাস্য ভাবে একের পর এক গোল বাচিয়েছেন কোর্তোয়া। 

কোর্তোয়া শুধু গ্লাভস নয়, হাত-পা-বুক-মাথা শরীরের সব অংশ দিয়ে একাই রুখে দিয়েছেন সালাহদের। ম্যাচের শেষ মিনিটেও সালাহর শট ঠেকিয়ে দলকে রক্ষা করেছেন ৩০ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। লিভারপুলের নেওয়া ৯টি অন টার্গেট শট কোর্তোয়ার দেয়ালে বাধা পড়েছে। লিভারপুলের আক্রমণভাগ ম্যাচের শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও কোর্তোয়ার দূর্ভেদ্য  দেয়াল ভাঙতে পারেনি।

২০১৮ সালের ফাইনালের সেই প্রতিশোধ নেয়া হলো না মোহাম্মদ সালাহদের। ০-১ গোলে  হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে অলরেডদের। এ নিয়ে ১৪তম শিরোপা জিতে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। সে সঙ্গে কোর্তোয়ার অতিমানবীয় পারফর্ম্যান্স নিশ্চিত করে রিয়ালের জয়। একে একে নয়টি গোল সেভ করেন কার্তোয়া।

হাসিব মোহাম্মদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন থিবো | কর্তোয়া | রিয়ালের | মাদ্রিদের | জয়ের | মূল | নায়ক