বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর তীব্র লড়াই চলছে। এ অবস্থায় সীমান্তে বিজিবির পাশাপাশি পুলিশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বললেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। তারা যে সহযোগিতা চাইছে আমরা দিচ্ছি। দেশের প্রয়োজনে যেকোনো কাজে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও অন্য সদস্যদের সঙ্গে পুলিশও কাজ করবে।
মিয়ানমার থেকে আসা গোলায় বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, কে মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে তা এখনো সুনিশ্চিত না। এ ঘটনায় পুলিশ একটা মামলা নিয়েছি। মামলার আসামি অজ্ঞাত। তদন্তে যাদের নাম আসবে পরবর্তী সময়ে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে পুলিশ প্রধান বলেন, বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। এসব এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি বৃদ্ধিসহ পেট্রোল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশসহ সব সংশ্লিষ্ট সংস্থা দায়িত্ব পালন করছে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে যে কোন অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড।
