আমি কৃষকের সন্তান। আমিও নিজে কৃষক ছিলাম, আমার পাড়া-প্রতিবেশীরাও কৃষি। তবে ধীরে ধীরে কৃষিতে ভর্তুকি দেয়া থেকে সরে আসা উচিত। কারণ গ্রামের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। গ্রামে বাড়ি ঘরের রূপ পরিবর্তন হয়েছে, ছেলে-মেয়ে পড়াশুনা করছে। সবাই ভালো আছে। বললেন পরিকল্পনামন্ত্রী এ এ মান্নান।
আজ শনিবার (৪ মে) কারওয়ান বাজার সিএ ভবনে ‘সম্প্রতিক সময়ে সামষ্টিক অর্থনীতি: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে ভর্তুকি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য দেয়া হয়। শ্রীলঙ্কাও অর্গানিক কৃষিতে গিয়েছিল, ফেল করেছে। তাই কৃষিকে সব সময় আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
তিনি বলেন, প্রবাসীরা দেশে খায় না, আয় দেয়। তবে ঢালাওভাবে প্রণোদনা দেওয়ার পক্ষে আমি নই। যারা মাসে ২ থেকে ৩শ ডলার রেমিট্যান্স পাঠায় তাদের প্রণোদনা দেয়া দরকার। ঢালাওভাবে রেমিট্যান্স দিলে অনেকে টেবিলের নিচ দিয়ে অর্থ পাঠিয়ে ওপর দিয়ে এনে ঘরে বসেই প্রণোদনা নেবে।
এম এ মান্নান বলেন, আমি একনেক মাঠে আমি কাজ করি। আমরা অপচয় রোধ করতে কাজ করছি। মাঝে মধ্যে আয়েশিভাব করেছিলাম। এটার রাশ টানতে হবে। এখন ১৮শ প্রকল্প আছে। এগুলোর গুরুত্ব অনুসারে সাজানো হবে। কোনটা আগে প্রয়োজন কোনটা পরে সেটা বের করতে হবে।