আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ এড়াতে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা

মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ এড়াতে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা

করোনার আতঙ্ক কাটতে না কাটতে দেখা দিয়েছে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ৩০টি দেশের ৭৮০ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছে। এসব রোগীর অধিকাংশই ইউরোপের বাসিন্দা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মারিয়া ভান কারখোভ মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে কিছু নির্দেশিকা জানিয়েছেন- উপায় বলে দিলো।

এসব নির্দেশিকার প্রথমেই বলা হয়েছে, সংক্রমিত রোগীকে অবশ্যই আইসোলেশনে রাখতে হবে।

বিরত থাকতে হবে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শ করা জিনিসে হাত দেয়া থেকে।

যদি কোনো কারণে সংক্রমিত ব্যক্তির কাছে থেকৈ আসার পর য় দ্রুত সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। সাবান পানির পরিবর্তে স্যানিটাইজারও ব্যবহার করা যেতে পারে।

মাঙ্কিপক্স রোগীর পরিচর্যা করার সময় মাস্ক ও গ্লাভস পরে থাকতে হবে।

চিকিৎসককে অবশ্যই চিকিৎসা সেবা প্রদানের সময় মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই কিটসহ যাবতীয় ভাইরাসনিরোধক পোশাক পরে কাজ করতে হবে।

অন্তঃসত্ত্বা ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন মানুষদের মাঙ্কিপক্স রোগীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।

সারাবিশ্বে এ রোগের  সংক্রমণ বা বিস্তাররোধ করার লক্ষেই পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই এসব নির্দেশিকা মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

মাঙ্কিপক্স রোগের উপসর্গ কী, তা কীভাবে ছড়াতে পারে এসব তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এসব তথ্যের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব মাঙ্কিপক্স রোগীকে চিহ্ণিত করতে হবে, বলেছেন ডা. মারিয়া ভান কারখোভ।

মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসা ও টিকা যতক্ষণ পর্যন্ত আবিষ্কার না হচ্ছে তত দিন সংক্রমণ রুখতে  সবাইকে রোগটি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শও দিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মাঙ্কিপক্স | সংক্রমণ | এড়াতে | প্রয়োজনীয় | নির্দেশিকা