আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

স্বপ্নের পদ্মা সেতু : অপেক্ষা শুধু মাহেন্দ্রক্ষণের

স্বপ্নের পদ্মা সেতু : অপেক্ষা শুধু মাহেন্দ্রক্ষণের

স্বপ্নের পদ্মা সেতু। যা এখন প্রমত্ত পদ্মার বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে। সেই সঙ্গে প্রস্তুত যানবাহন পারাপারের জন্যও। এখন অপেক্ষা শুধু মাহেন্দ্রক্ষণের। আসছে ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন এই স্বপ্ন সেতুর। 

নানা ষড়যন্ত্র আর দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগের পর দাতা সংস্থাগুলো যখন মুখ ফিরিয়ে নেয়, ঠিক তখন নিজেদের টাকায় গড়ে তোলা দেশের সবচেয়ে বড় এই প্রকল্পই এখন দেশের অহংকার। তবে বিশাল এই কর্মযজ্ঞের পেছনে রয়েছে বহু চ্যালেঞ্জ আর বাধা-বিপত্তির গল্প। অবশেষে শত ঘাত-প্রতিঘাত, কাঠখড়, নানা গুজব পেরিয়ে প্রমত্ত পদ্মার বুকে গৌরবের প্রতীক হয়ে দৃশ্যমান পদ্মা সেতু।

এই সেতু কেবল একটি অবকাঠামোয় নয়, ১৮ কোটি মানুষের স্বপ্ন এটি। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ২০০৯ সালের শুরুতে আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের পর শুরু হয় সেতু তৈরির প্রাথমিক পরিকল্পনা। ২০১৪ সালের ১৭ জুনে চায়না মেজর ব্রিজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বরে সেতু প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্যে দিয়ে মূল সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন হয় ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর। পাশাপাশি নদী শাসনের কাজ দেয়া হয় সিনো হাইড্রো করপোরেশনকে। সাথে পদ্মার দুই প্রান্তে ১৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়কসহ সার্ভিস এরিয়া নির্মাণের কাজ পায় দেশীয় প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম। আর তা তদারকের দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বুয়েটকে। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হতে শুরু করে পদ্মা সেতু। এরপর ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর বসানো হয় শেষ স্প্যানটি।

এরপর গেলো দেড় বছর কাজ শেষে প্রস্তুত পদ্মা সেতু। এখন অপেক্ষা ২৫ জুনের মাহেন্দ্রক্ষণের।

মির্জা রুমন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন স্বপ্নের | পদ্মা | সেতু | | অপেক্ষা | শুধু | মাহেন্দ্রক্ষণের