বঙ্গবন্ধু আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র দিয়েছেন। আমরা রাষ্ট্রকে ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবেই মানি। আসলে ধর্ম যার যার, উৎসব সবার বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)।
আজ শুক্রবার (১ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকার আখরা মন্দিরে রথযাত্রা মহোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল আছে তারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে টেররিজমের আবির্ভাব ঘটিয়েছে এই দেশে। টেররিজম আসার পর থেকে আমাদের মধ্যে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি তখন থেকেই রথযাত্রায় যেতাম। হাতি, ঘোড়া ও দড়ি টানা দেখতে আমার বেশ ভালো লাগতো। কৈশোরে রথযাত্রা মানেই আনন্দ ও উৎসব মনে হতো। সবাইকে দেখতাম দড়ি টানছে। আমিও যেয়ে দড়ি ধরে টানতাম। কী যে আনন্দ লাগতো সে এক অন্যরকম অনুভূতি। একটা গান আছে আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম। সত্যিই আমরা আগে খুব সুন্দর দিন কাটাইতাম। রথযাত্রা উপলক্ষে মেলা হতো মাসব্যাপী। বাবার কাছে টাকা নিয়ে মেলার কত বাহারি খাবার খেতাম, বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতাম, আনন্দ করতাম। তখন ধর্মটা সবাই যার যার মতো করে পালন করতেন, আর উৎসবটা ছিল সকলের।
তিনি আরও বলেন, আজকে এখানে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী রথযাত্রার উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত আছেন। তিনি দড়ি টানবেন। আমিও তার সঙ্গে দড়ি টানব। আপনারা আপনাদের ধর্ম পালন করবেন। আমরা সবাই এই উৎসবকে উপভোগ করব। আপনারাও আমাদের উৎসবে আসবেন আনন্দ করবেন। এটাই আমাদের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার সময় সমস্ত বাঙালিকে এক করেছিলেন। আর ২০২২ সালে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আমাদের সকলকে এক করে দিয়েছেন। অনেক ষড়যন্ত্র আর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই প্রধানমন্ত্রী এই সেতু বাস্তবায়ন করেছেন। পদ্মা সেতু হলো জাতীয় চেতনা। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি বাপের বেটি। তিনি না থাকলে আমরা পদ্মা সেতু পেতাম না। শুধু ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতো, পদ্মা সেতুর মুখ আমরা দেখতে পেতাম না।
রথযাত্রা মহোৎসবে উপস্থিত ছিলেন নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মনিরুজ্জমান মনির, অসিত বরণ বিশ্বাস প্রমুখ।
মেহা