ঈদ আসলেই আওয়ামী সরকারের পরিবহন ও টিকিট সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে ওঠে। যে যেভাবে পারে দুই-তিনগুণ ভাড়া বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কাটে। সবকিছু করছে সরকারি দলের লোকেরা। কারণ এই অর্থের ভাগ পায় ক্ষমতাসীন দলের রাঘব বোয়ালরা। সরকারের সিন্ডিকেটে ভাড়ার নৈরাজ্য, পথের সীমাহীন মহাদুর্ভোগ মানুষের ঈদ আনন্দকে ম্লান করে দিচ্ছে। বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ শুক্রবার (৮ জুলাই) রাজধানীর দলীয় অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন ।
রিজভী বলেন, একদিন পরই ত্যাগের মহিমায় উৎকীর্ণ পবিত্র ঈদুল আযহা। শহরের কষ্ট-ক্লান্ত মানুষ প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ উদযাপনে ফিরছেন গ্রামে। কিন্তু পথে পথে যানজট, চাঁদাবাজি ও হয়রানি অব্যাহত রয়েছে। পথের ক্লান্তিই শেষ না, দেশের বৃহৎ অঞ্চলজুড়ে ত্রাণবঞ্চিত বন্যার্ত মানুষের হাহাকার ঈদের আনন্দকে নিরানন্দে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, জনগণের টাকায় এই লুটপাটের সরকার আকাশে স্যাটেলাইট পাঠায়, নিচে রাস্তা বন্ধ করে উপরে মেট্রোরেল-ফ্লাইওভার বানায়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য কোটি টাকার আতশবাজি পোড়ায়।
তিনি আরও বলেন, গ্যাস উত্তোলন বন্ধ রেখে বিদেশ থেকে মূল্যবান এলএনজি আমদানি করে বিদ্যুৎ তৈরি করে লুটপাটের জন্য। অথচ মানুষের এখন খাদ্য নেই, কর্ম নেই। ঘরে ঘরে কোটি শিক্ষিত বেকার, অনাহারক্লিষ্ট মানুষ খাদ্যের অভাবে সন্তান হত্যা করছে বা বিক্রি করছে।
মেহা