আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে (৩৫) গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে পঞ্চগড় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে পঞ্চগড় চীফ জুডিশিয়াল আদলতে তোলা হলে আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক অলরাম কার্জী তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গেলো শুক্রবার (১৫ জুলাই) ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামী আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। একই দিন দিনগত রাতেই শিবগঞ্জ থানা পুলিশ পঞ্চগড়ের আটোয়ারী থানা পুলিশের কাছে আলাউদ্দিনকে হস্তান্তর করে। জানা যায়, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার ছোটধাপ গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন গা ঢাকা দেন। পরে পরিচয় গোপন করে প্রথমে তিনি গাজীপুরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। আলাউদ্দিন সে সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ‘আত্মগোপন’ করেন। পুলিশের নথিতে ‘পলাতক’ আলাউদ্দিন তাঁর স্ত্রীসহ গত ৭ জুলাই ঈদের ছুটিতে বগুড়ার মোকামতলা বন্দরে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে আলাউদ্দিনের শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, শিবগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করে শুক্রবার দিনগত রাতে আটোয়ারী থানায় আনা হয়। পরে শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে জেলা কারাগারে পাঠান।
জানা যায়, বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার রায়ে আলাউদ্দিন যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামী ছিলেন। মামলার পর থেকেই আলাউদ্দিন আত্মগোপনে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় পঞ্চগড়ের আটোয়ারী থানায় গ্রেফতারী পরোয়ানা ছিল।
