স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূ্র্তিতে যখন ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে’ মাতোয়ারা গোটা দেশ, তখন ১৫ আগস্ট কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে লালকেল্লা চত্বরে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর যা কখন করেননি, এবার কি সেটাই করবেন মোদি। বুলেটপ্রুফ বক্স থেকে ভাষণ দেবেন? জল্পনা তুঙ্গে।
১৯৮৪ সালে দিল্লিতে নিজের বাসভবনেই নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে খুন হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এরপর থেকে যারা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তারা সকলে স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় বুলেটপ্রুফ বক্স থেকে ভাষণ দিয়েছেন। ১৯৮৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রথমবার বুলেট প্রুফ বক্স থেকে ভাষণ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর রাজীব গান্ধী। ১৯৯০ সালে লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলনের পর যখন ভাষণ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ভিপি সিং, তখন মঞ্চের অর্ধেকটা ছিল বুলেটপ্রুফ বক্স ঢাকা, আর বাকি অংশটা খোলা। পরে অবশ্য বুলেটপ্রুফ বক্স থেকে ভাষণ দেয়া শুরু করেন তিনি।
মোদিই কিন্তু প্রথম থেকে উল্টো পথে হেঁটেছেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় বুলেটপ্রুফ বক্স থেকে ভাষণ দেননি কখনও। বরং প্রোটোকল ভেঙে ভাষণ শেষে শিশুদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাহলে? সম্প্রতি লালকেল্লা স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির একটি ছবি প্রকাশ করেছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ১৫ আগস্ট লালকেল্লায় যে পাঁচিলে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী, সেই পাঁচিলে বুলেটপ্রুফ বক্স লাগানো হচ্ছে। ১৫ আগস্ট লালকেল্লা চত্বরে মোতায়েন থাকবে ১ লাখ পুলিশকর্মী।
এরআগে, অন্ধ্রপ্রদেশের বিঘ্নিত হয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা। কীভাবে? বিজয়ওয়াড়ায় মাঝ আকাশে মোদির হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে ওড়ানো হয় কালো বেলুন! গ্রেপ্তার করা হয় ৪ কংগ্রেসকর্মীকে। অন্ধ্র সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করে কেন্দ্র। এমনকী, পঞ্জাবেও একটি উড়ালপুলে প্রায় ২০ মিনিট আটকে ছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। স্বাধীনতা দিবসে এমনিতেই জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থাকে প্রতিবারই। তাই লালকেল্লা থেকে এবার মোদির ভাষণে সময়ে ঝুঁকি নেয়া হচ্ছে না বলে খবর।
এদিকে দেশজুড়ে নানাভাবে উদযাপন করা হচ্ছে স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি। পোশাকি নাম, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব।’
