ভিসা ইস্যুতে হওয়া শ্রমিকদের জটিলতা নিরসনে চেষ্টা চলছে। এছাড়া ভিসা পেয়েও যারা মালয়েশিয়া যেতে পারছেন না, তাদের দ্রুত নেয়ার ব্যাপারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বলেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
শুক্রবার (৩১ মে) রাতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন মো. শামীম আহসান। রাতভর বিমানবন্দরে অবস্থান করেন এবং সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, কাউন্সিলর লেবার সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, প্রথম সচিব প্রেস সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ ও ওয়েলফেয়ার এ্যাসিসটেন্ট শিহাব হোসাইন।
হাইকমিশনার জানান, দূতাবাসের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ৩১ মে বাংলাদেশ থেকে যারা মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন, ১২ টার পরও তারা ইমিগ্রেশন পার হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ৫ লাখ ২৭ হাজারের বেশি ডিমান্ড লেটার সত্যায়ন করেছে হাইকমিশন। এ পর্যন্ত চার লাখ ৭২ হাজারের বেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছে। আমরা নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, তারা যেন প্রতিশ্রুত কাজে যোগদান করতে পারেন। আমাদের প্রচেষ্টা চলমান আছে।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার গেলো মার্চের ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ মে পর আর কোনো নতুন বিদেশি শ্রমিক দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না। সময়সীমার কারণে হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এয়ারলাইনস সংস্থাগুলো আসন সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শুক্রবার পর্যন্ত বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করে।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ কর্মী। এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৭২ হাজারের বেশি কর্মী মালয়েশিয়াতে এসেছেন। আজ থেকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ায় প্রায় ৩০ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।