আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

অনির্দিষ্টকালের জন্য পাথর ও বালি ক্রয় বিক্রয় বন্ধ ঘোষণা

অনির্দিষ্টকালের জন্য পাথর ও বালি ক্রয় বিক্রয় বন্ধ ঘোষণা

পঞ্চগড়ে লোড- আনলোড খরচ বৃদ্ধি করায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পাথর ও বালি ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ ঘোষণা করেছে পঞ্চগড় জেলা পাথরবালি যৌথ ফেডারেশন।

আজ শনিবার (২৭ আগস্ট) সকালে পঞ্চগড় জেলা পাথরবালি যৌথ ফেডারেশনের সভাপতি হাসিবুল হক প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গেলো শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সন্ধায় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর পাথর বালি ব্যবসায়ীক সমিতির কার্যালয়ে পাথর বালি ব্যবসায়ী ও মালিকসহ সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা শেষে রাতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

পাথরবালি যৌথ ফেডারেশন সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় জেলায় দীর্ঘদিন ধরে পাথর বালি লোড- আনলোডে সেফটি প্রতি ২টাকা ৮০ পয়সা করে শ্রমিকদের দিয়ে আসছিলো ব্যবসায়ী। এদিকে জেলা ট্রাক ট্রাক্টর, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন ২০০০ ও পঞ্চগড় জেলা মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ২৬৪ এর সভাপতি সম্পাদক ১০ আগস্ট লোড- আনলোডের দাম বৃদ্ধির জন্য পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু জেলা প্রশাসক কর্তৃক কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ার আগেই শ্রমিক ইউনিয়ন ২০০০ ও ২৬৪ গেলো ২০ আগস্ট থেকে জোর পূর্বক ভাবে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২ টাকা ৮০ পয়সার পরিবর্তে ৫ টাকা ৫০ পয়সা করে নেয়া শুরু করে। এতে করে ব্যবসায়ীরা যৌথ ফেডারেশনের সাথে কয়েক দফা আলোচনা শেষে কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা পাথর-বালি যৌথ ফেডারেশনের সভাপতি হাসিবুল হক প্রধান জানান, ওই দুই শ্রমিক সংগঠন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা না বলে এবং প্রশাসনের কোন নির্দেশনা ছাড়াই একাই দাম বৃদ্ধি করে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

জেলা পাথরবালি ব্যবসায়ি ও সরবরাহকারী সমিতির দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রউফ জানান, পঞ্চগড়ের ওই দুই শ্রমিক সংগঠন জেলা প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে মনগড়া ভাবে দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জোর পূর্বক টাকা নেয়া শুরু করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।

এদিকে পঞ্চগড় জেলা মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ২৬৪ এর সভাপতি আব্দুল লতিফ জানান, দ্রব্যমূল্লের উর্ধ্বগতির কারনে শ্রমিকরা দীর্ঘদিন থেকে লোড খরচা বাড়ানোর দাবী জানিয়ে আসছিল। সেই দাবীর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বরাবর কয়েকদফা আবেদন করে গেলো বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) থেকে ৪ টাকা নেয়া শুরু করেছি।

জেলা ট্রাক ট্রাক্টর, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন ২০০০ এর সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন জানান, প্রথমে তেঁতুলিয়া লেবার শ্রমিক ইউনিয়ন দাম বৃদ্ধির আবেদন করে। এর পর ভজনপুর লেবার শ্রমিক ইউনিয়ন। পরে আমাদের ইউনিয়নের শ্রমিকরা আমাদের কাছে শ্রমের দাম বৃদ্ধির আবেদন করে। তাই আমরা যৌথ ফেডারেশন ও জেলা প্রশাসকে অবগতসহ লিখিতভাবে দাম বৃদ্ধির আবেদন করেছি। 

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শ্রমিকদের মূল্য বৃদ্ধির আবেদন আমরা পেয়েছি। আবেদনের পর এখনো কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় নি। সে বিষয়ে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন অনির্দিষ্টকালের | জন্য | পাথর | ও | বালি | ক্রয় | বিক্রয় | বন্ধ | ঘোষণা