সারা দেশের জনগন এক হয়ে গেছে । হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। কোন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। আর কাউকে করতেও দেয়া হবে না। ক্ষমতা চলে গেলে আওয়ামীগের কাউকে খূঁজে পাওয়া যাবে না। কাল কিয়ামতের দিনও যার যার হিসাব তাকে তাকে দিতে হবে। সব রাজনৈতিক দলের দাবি নিদর্লীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার । কিন্তু বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে ক্ষমতা টিকে থাকতে চায়। বার বার জোর করে ক্ষমতায় আশা সেই স্বপ্ন এবার আর পূরণ হবে না। পরিবর্তনের হাওয়া শুরু হয়ে গেছে। বললেন বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ।
আজ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ এসব কথা বলেন ।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক আনিছুজ্জামান খান বাবু, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ড. মইনুল হাসান সাদিক, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রওশন আরা ফরিদ, কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলামসহ বিএনপির স্থানীয় বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশটি সঞ্চলনা করেন সাদুল্যাপুর বিএনপির সভাপতি আব্দুস ছালাম।
বক্তারা বলেন, যেকোনো মূল্যে শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অন্যদিকে দলের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, ‘এ দায়িত্ব পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেওয়া হয় নাই। শেখ হাসিনাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিল্লি পাঠিয়েছেন এই অনুরোধ করার জন্য। আজকে বাংলাদেশকে নিয়ে তামাশা ও উপহাস হচ্ছে। সাধারণ মানুষের দিন চলে না আর দায়িত্বশীল মন্ত্রী বলছেন দেশের মানুষ বেহেশতে আছে। দেশকে নিয়ে যারা তামাশায় লিপ্ত হয়েছে, তাদের ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে। ২০২৩ সালে তাদের বিদায় ঘণ্টা বাজবেই, বাজবে।’
বক্তারা আরও বলেন, দেশে এখন অর্থনৈতিক সংকট, রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। ব্যাংকগুলো থেকে অর্থ লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সব ক্ষেত্রে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ সারা দিন পরিশ্রম করে যা আয় করছে, তা দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী কিনতে পারছে না।
মেঘ