ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়া ইরানে নিহত হয়েছেন। ইরানের রাজধানী তেহরানে তার নিজ বাড়িতে চালানো হামলায় ইসমাইল হানিয়া নিহত হন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (৩১ জুলাই) হামাস এক বিবৃতিতে ইসমাইল হানিয়ার নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীও হামাসের এ শীর্ষ নেতার নিহত হওয়ার খবর জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। তবে ওই বিবৃতিতে কীভাবে নিহত হয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে ইসমাইল হানিয়ার নিহত হওয়ার খবর প্রচার করে। খবরে বলা হয়, রাজধানী তেহরানে ইসমাইল হানিয়া যে ভবনে অবস্থান করছিলেন সেখানে হামলা চালানো হলে হানিয়া ও তার এক দেহরক্ষী নিহত হন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৫ জুন ফিলিস্তিনে তার পারিবারিক বাসস্থানে ইসরাইলের বিমান হামলায় ইসমাইল হানিয়ার বোনসহ পরিবারের অন্তত ১০ জন সদস্য নিহত হন।
এরও আগে, গত এপ্রিলে ঈদুল ফিতরের দিন ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি প্রাণ হারিয়েছিলেন। ঈদের দিনে একটি বেসামরিক গাড়িতে চড়ে এক স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ইসমাইল হানিয়ের ছেলে, নাতি-নাতনিরা। এ সময় গাড়িটি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান থেকে হামলা চালানো হয়। এতে হানিয়ার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ ইসমাইল হানিয়া এবং তার অন্তত তিন নাতি-নাতনি নিহত হন।
গত ফেব্রুয়ারিতে মারা যায় ইসমাইল হানিয়ার আরেক ছেলে। আর গত অক্টোবরের হামলায় ইসরিইলি বিমান হামলায় প্রাণ হারায় হানিয়ার এক ভাই ও ভাতিজা। এর পরের মাসেই হামলায় হানিয়ার এক নাতি নিহত হন।
এমআর//