আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

কেন জন্ম নিবন্ধন করতে চেয়েছিলেন রহিমা খাতুন!

কেন জন্ম নিবন্ধন করতে চেয়েছিলেন রহিমা খাতুন!

খুলনার দৌলতপুর থেকে নিখোঁজের ২৭ দিন পর রহিমা খাতুনকে উদ্ধার করা হলেও তার হারিয়ে যাওয়া নিয়ে রহস্যের উদঘাটন হচ্ছে না। 

আলোচিত মামলাটির তদন্ত করতে নেমে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বলছে,  প্রাথমিক আলামতে মনে হচ্ছে রহিমার অপহরণ হওয়ার দাবি সঠিক নয়। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

রহিমা খাতুনকে উদ্ধারের ঘটনাস্থল ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, সেখানে জন্ম নিবন্ধন করতে চেয়েছিলেন রহিমা।

এদিকে, রহিমা খাতুনকে উদ্ধারের সময় তার আশ্রয়দাতা পরিবারের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। 

পিবিআই জানায়, প্রয়োজনে এই তিনজনকে মামলার সাক্ষী করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পিবিআই।

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আশ্রয় নেয়া বাড়ির মালিকের সাথে রহিমা খাতুনের শেষ দেখা হয় ২৮ বছর আগে। এত দীর্ঘ সময় পর সেই বাড়ির ঠিকানা ও মালিককে কীভাবে খুঁজে পেলেন, আর কেনই বা সেখানে আশ্রয় নিলেন রহিমা, তদন্তে ঘুরেফিরেই আসছে এই প্রশ্নগুলো।

পিবিআইয়ের কাছে দেয়া বক্তব্য ও আদালতে দেয়া লিখিত জবানবন্দিতে দেখা যায়, রহিমা খাতুন নিখোঁজ হন ২৭ আগস্ট। সৈয়দপুর গ্রামে যান ১৭ সেপ্টেম্বর। 

পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, মাঝখানের ২০ দিন কোথায়, কার কাছে, কী অবস্থায় ছিলেন কিংবা পরিবারের কেউ সহায়তা করেছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৈয়দপুরে অবস্থানের সময় জন্মনিবন্ধনের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলেন রহিমা খাতুন। তবে স্থানীয়ভাবে নাম, ঠিকানা না থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি। ওই এলাকায় কেন স্থায়ী হতে চেয়েছিলেন, পিবিআইয়ের এমন প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারেননি রহিমা।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জানান, তার অর্ন্তধান নিয়ে দেয়া বক্তব্যগুলো সাংঘর্ষিক। তদন্ত সংস্থা মনে করছে, অন্তর্ধানের গোটা বিষয়টির সঙ্গে তার স্বামী বেলাল হাওলাদারের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।

রহিমা অপহৃত হওয়ার অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে জানিয়ে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান আরও বলেন, রহিমা বেগমকে উদ্ধারের সময় তার কাছ থেকে একটি সাদা ব্যাগ পাওয়া গেছে। তাতে ওষুধ ছিল, পোশাকসহ অন্য মালামাল ছিল। একজন ব্যক্তি অপহরণ হলে তার সঙ্গে এগুলো থাকতে পারে না। তাই এটা অপহরণ নাও হতে পারে। রহিমা বেগমের বক্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনেক রহস্য এখনও অমীমাংসিত। রহিমা বেগমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী তদন্ত শেষে সবকিছু প্রকাশ করা হবে।

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কেন | জন্ম | নিবন্ধন | করতে | চেয়েছিলেন | রহিমা | খাতুন