ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর সারাদেশে বিভিন্ন থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। থানা ও ফাঁড়িতে হামলার পর অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা। গত ৩ সেপ্টেম্বর অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে লুট ও অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে এখন পর্যন্ত ১৪৪টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬৪ জনকে।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে আটটি রিভলভার, ৪১টি পিস্তল, ১১টি রাইফেল, ১৭টি শটগান, পাঁচটি পাইপগান, ১৯টি শুটারগান, ১০টি এলজি, ২২টি বন্দুক, একটি একে ৪৭, একটি গ্যাসগান, একটি চাইনিজ রাইফেল, একটি এয়ারগান, তিনটি এসবিবিএ, তিনটি এসএমজি ও একটি টিয়ার গ্যাস লঞ্চার।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর গণমাধ্যমে বলেন, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট ১৪৪টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রিভলবার ৮টি, পিস্তল ৪১টি, রাইফেল ১১টি, শটগান ১৭টি, পাইপগান ৫টি, শুটারগান ১৯টি, এলজি ১০টি, বন্দুক ২২টি, একে-৪৭ একটি, গ্যাসগান একটি, চাইনিজ রাইফেল একটি, এয়ারগান একটি, এসবিবিএল ৩টি, এসএমজি ৩টি ও টিয়ার গ্যাস লঞ্চার একটি উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্টগার্ড এবং র্যাব রয়েছে।
এএম/