সাতক্ষীরার পর এবার চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আরেও এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম মুনতাজ হোসেন (৪০)।
রোববার (৯ অক্টোবর) ভোরে বড় বলদিয়া সীমান্তের অদূরে ভারতীয় সীমান্তের মধ্য মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে বিএসএফের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে চলে যান।
নিহত মুনতাজ হোসেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছোট বলদিয়া গ্রামের স্কুলপাড়ার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।
পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার (৮ অক্টোবর) রাতে অবৈধভাবে গরু নিয়ে আসার জন্য ভারত সীমান্তে যান মুনতাজ হোসেন। রোববার (৯ অক্টোবর) সকালে ভারত সীমান্তের মধ্যে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাংলাদেশিরা। বিএসএফের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ বিএসএফ নিয়ে গেছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে মরদেহ নিয়ে আসা হবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হযরত আলী গণমাধ্যমকে বলেন, মুনতাজ আগে কাঠের ব্যবসা করতেন। এখন শুনছি অবৈধভাবে ভারত থেকে গরু নিয়ে এসে ব্যবসা করতেন। রাতে সীমান্তে গরু নিয়ে আসার সময় বিএসএফের গুলিতে মারা যান মুনতাজ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বিএসএফ নিয়ে গেছে।
দর্শনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে গেলে তিনি বিস্তারিত জানতে পারবেন।
চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মো. ইশতিয়াক বলেন, বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। সেখানে গিয়ে তদন্ত করে বিস্তারিত পরে জানাবেন। নিহত মুনতাজ হোসেনের মরদেহ দেশে নিয়ে আসার জন্য কাজ চলছে।
এর আগে একই দিন ভোররাতে সাতক্ষীরা সীমান্তের কুশখালী এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে হাসানুর রহমান (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
অনন্যা চৈতী
