আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

নতুন দুয়ার খোলার অপেক্ষায় দেশবাসী

নতুন দুয়ার খোলার অপেক্ষায় দেশবাসী

নড়াইলে দেশের প্রথম ছয়লেনের মধুমতি সেতু এবং নারায়ণগঞ্জে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর দুয়ার খুলবে আজ। নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে বন্দর উপজেলা আর বিচ্ছিন্ন থাকবে না। দুই জনপদকে আলাদা করে রাখা নদীর ওপর সাড়ে সাত বছরের নির্মাণযজ্ঞ শেষ করে এখন সড়ক যোগাযোগ শুরুর অপেক্ষায় তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু, যেটির নামকরণ করা হয়েছে সদর আসনের সাবেক সংসদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সদস্য নাসিম ওসমানের নামে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে  এ সেতুগুলোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে মধুমতি নদীর উপর ৬৯০ মিটার দীর্ঘ মধুমতি সেতু নির্মিত হয়েছে যা স্থানীয়ভাবে কালনা সেতু নামে পরিচিত। এটি নড়াইল, গোপালগঞ্জ, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর এবং ঝিনাইদহ জেলাকে সংযুক্ত করেছে।
২৭.১ মিটার চওড়া সেতুটিতে চারটি উচ্চ গতির লেন ৪.৩০ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোড এবং দুটি সার্ভিস লেনসহ ছয়টি লেন রয়েছে।

এদিকে ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতু নারায়ণগঞ্জ শহরকে বন্দর উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

১.২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলগামী যানবাহন এবং একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যানবাহন যানজট এড়াতে এবং সময় বাঁচাতে নারায়ণগঞ্জ শহরকে বাইপাস করতে সক্ষম করবে।

সেতুটির সঙ্গে নতুন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠলে পদ্মা সেতু থেকে জনগণ সর্বোচ্চ সুবিধা পাবে বলেও জানান তিনি।

এই সেতু প্রকল্প ২০১০ সালে একনেকে অনুমোদন পেলেও ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ৬০৮.৫৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬৩.৩৬ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে এবং ৩৪৫.২০ কোটি টাকা সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) থেকে এসেছে।

ওয়াকওয়েসহ সেতুটিতে ৩৮টি স্প্যান রয়েছে। পাঁচটি নদীতে এবং ৩৩টি পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে। হাঁটার পথসহ সেতুটির প্রস্থ ২২.১৫ মিটার। এছাড়া, ছয়লেনের টোল প্লাজা এবং দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ রোডও নির্মাণ করা হচ্ছে।

সৌদি আরবের সহযোগিতা নিয়ে সেতুটি নির্মাণ করেছে সরকার। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ৩৮টি খুঁটি। এর মধ্যে নদীতে রয়েছে পাঁচটি।
৬ লেনের এই সেতুর চার লেনে দ্রুতগতির যানবাহন এবং দুই লেনে চলবে রিকশা সাইকেল ভ্যানসহ ধীরগতির যানবাহন। দুই পাশের রেলিং ঘেঁষে রয়েছে ফুটপাত। তাই পাড়ি দেয়া যাবে হেঁটেও।

এই সেতুর নির্মাণের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কের সঙ্গে পদ্মা সেতুর দূরত্ব কমল ৯ কিলোমিটার। বন্দর উপজেলার মদনপুর দিয়ে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর হয়ে শ্রীনগরের ছনবাড়ী পয়েন্টে দিয়ে যুক্ত হবে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা সুপার এক্সপ্রেসওয়ে।

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নতুন | দুয়ার | খোলার | অপেক্ষায় | দেশবাসী