ক্যান্টনমেন্টে আশ্রিত ৬২৬ জনকে ভারতে পালিয়ে যেতে কারা সহায়তা করেছেন তা জানতে চেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
রোববার (০৮ ডিসেম্বর) বিজিবি সদর দপ্তরে ‘জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের স্বাবলম্বীকরণে বিজিবির সহায়তা প্রদান’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত বলেন, ‘সেনাবাহিনীর যারা অফিসার ও সৈনিক ছিলেন তারা কোর্ট মার্শালকে সামনে রেখে জেনারেলের বিরুদ্ধে গিয়ে ছাত্রজনতার পক্ষে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। তাদের প্রতি আমরা দায়বদ্ধতা অনুভব করি। আপনারা আপনাদের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে নিশ্চিত করবেন এই ৬২৬ জন যারা ফ্যাসিবাদের অংশ ছিল, যারা এই ফ্যাসিবাদকে পৃষ্টপোষকতা দিয়েছে তাদেরকে কারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে সেফ এক্সিট করে দিয়েছিল’।
সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সিরিয়াতে ৫২ বছর পর যা ঘটেছে বাংলাদেশে ১৬ বছরে তা ঘটেছে। বাংলাদেশে আসাদ নামক এই ফিমেল ক্যারেক্টার হাসিনার পতন ঘটেছে। সবাই মিলে যদি ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশটা গড়তে চায় তাহলে একসঙ্গে গড়তে হবে। এ জন্য সকলকে নিয়ে কাজ করতে চান বলেও জানান তিনি।
ভারতীয় মিডিয়ার অপ্রচার নিয়ে তিনি আরও বলেন, ভারতীয় ও পশ্চিমা মিডিয়াগুলোতে যেসব থ্রেট করা হচ্ছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের কালেকটিভ কাউন্টার প্রোপাগান্ডা সেল চালাতে হবে।
এসময় পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার দাবি জানান এ ছাত্রনেতা।
আই/এ