রমজানে কোনো পণ্যের ক্রাইসিস (সংকট) থাকবে না। ক্রাইসিস না থাকলেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। যেন ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে মূল্য রাখা যায়। জানালেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে রাজশাহী বিভাগে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কার্যক্রম শক্তিশালী করার বিষয়ে বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, রমজানের গুরুত্বপূর্ণ পণ্য সয়াবিন তেল, চিনি, ছোলা, খেজুর, সেমাইসহ বেশ কিছু পণ্যের ডিউটি ও ট্যারিফ কমানো হয়েছে। কিছু কিছু পণ্যে প্রায় জিরোর কাছাকাছি ধরা হয়েছে। অনেকেই এলসি খুলেছেন, আমদানি করছেন। আশা করা হচ্ছে রমজানে কোনো পণ্যের ক্রাইসিস থাকবে না। সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ভোক্তাদের নাগালে দাম রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিছু জিনিস ভোক্তা অধিদপ্তরের এখতিয়ারের বাইরে। সবকিছু যদি সঠিকভাবে চলে তাহলে রমজানে ক্রাইসিস হবে না।
তিনি বলেন, সম্প্রতি সময়ে পেঁয়াজ ও আলুর দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলো ভোক্তা অধিদপ্তর। সাধারণত দ্রব্যমূল্যের ধারণা পাওয়া যায় কৃষি বিপন্ন অধিদপ্তর থেকে। কোল্ডস্টোরগুলোতে (হিমাগার) ২৭ টাকার মধ্যে আলু রাখা হয়েছিল। এর সঙ্গে কোল্ডস্টোরের ভাড়া, পরিবহণ ইত্যাদি মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৪০ টাকায় বিক্রি করলে এটাকে যৌক্তিক মূল্য বলা হচ্ছে। তারপরেও এটাতে আরও কিছু লাভ ধরে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা করে দিয়েছে কৃষি বিপন্ন অধিদপ্তর। সেই দামে বিক্রির বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের আন্তরিকতা দেখিয়েছে।
ভোক্তার ডিজি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এখনও পুরানো সংস্কৃতিটা পুরোপুরি পরিবর্তন হয়নি। গেলো মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদে (স্থলবন্দর) গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে দেখতে পান পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে যে আমদানি হচ্ছে তারমধ্যে ওয়ান থার্ড (তিনভাগের এক ভাগ) পেঁয়াজ নষ্ট। কিন্তু তখন পেঁয়াজের ক্রাইসিস মেইনটেইন করার জন্য কিনতে বাধ্য হয়েছেন। পেঁয়াজ যে পরিমাণে আমদানি করা হয়েছিল সেটার ৩০ ভাগ নষ্টের পরেও বাকিগুলোর ১০০ করে মূল্য ধরা হয়েছিল। ফলে মূল্য কোনোভাবে কমানো সম্ভব হয়নি। পেঁয়াজগুলো এক অংশ প্রায় ভেজা আসতো।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জামিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন- রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) খোন্দকার আজিম আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ক্যাবের রাজশাহী জেলা সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন। এসময় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও ব্যবসায়ী প্রতিনিধির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জেডএস/