জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প সময়মতো শেষ করতে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে অনশনরত শিক্ষার্থীরা। অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জবির সাধারণ শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার জবি ক্যাম্পাস থেকে সচিবালয়ের দিকে এ যাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
আজ দুপুর ২টায় সেনাবাহিনীকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর নিয়ে সচিবালয় থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। চিঠিতে আগামী ১৫ জানুয়ারি (বুধবার) সচিবালয়ে সেনাবাহিনীর কাছে কাজ হস্তান্তরসহ তিন এজেন্ডা নিয়ে আলোচনার বিষয় উল্লেখ করা হয়।
এ চিঠি আসার পর অনশনরত শিক্ষার্থীরা তিনটি দাবি জানান। সেগুলো হলো–
১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রয়োজনে স্পেশাল মিটিংয়ের মাধ্যমে তা সম্পূর্ণ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালভাবে সবার সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকাবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেয়ার নাম করে কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।
২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।
৩. যতোদিন পর্যন্ত আবাসন ব্যবস্থা না হয়, ততোদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
অনশনরত শিক্ষার্থী রায়হান রাব্বি জানান, তাদের দাবি মেনে নেয়া হবে আগামী বুধবারের মিটিংয়ে -এ মর্মে লিখিত অঙ্গীকার দিতে হবে। তাহলে তারা অনশন ভাঙবেন। স্বাক্ষর হওয়া আগ পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই তাদের এই কার্যক্রম আরো সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। তাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। মিটিংয়ে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে । তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় দাবির অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আই/এ