ভোটার তালিকা হালনাগাদ থেকে শুরু করে ভোট প্রদান এবং ফলাফল ঘোষণার পুরো প্রক্রিয়ায় জনগণের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অনিয়ম চাই না। সত্যিকারের নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। নির্বাচনের নামে প্রহসনকে গ্রহণযোগ্য করা যাবে না।’
‘সঠিক তথ্যে ভোটার হবো, নির্বাচনে ভোট দিব’ এই স্লোগান সামনে রেখে সারা দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিইসি।
তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের দায়িত্ব। ভোটার হালনাগাদ সেই লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ। যেদিন ভোটাররা ভয়মুক্ত পরিবেশে নিজেদের ভোট দিতে পারবেন, সেদিনই দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার পুরোপুরি ফিরে পাবে।’
সিইসি জানান, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি মাঠকর্মীদের সতর্ক থেকে স্বচ্ছ ও নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির নির্দেশনা দেন। যেন কোনো অনিয়ম বা অসততার অভিযোগ উঠতে না পারে।
নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, ‘জনগণের আস্থা অর্জনে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হালনাগাদকর্মীদের সচেতন থেকে কাজ করতে হবে।’
অপর কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, ‘তথ্য সংগ্রহকারীরা ভয়মুক্ত থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটাধিকার রক্ষায় তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা অপরিহার্য।’
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্ভুল ভোটার তালিকা অপরিহার্য। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো। আমাদের প্রত্যাশা, ভোটারদের মধ্যে আর আগ্রহের ঘাটতি থাকবে না।’
ইসির সূত্র মতে, ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ চলবে। ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্ম নেওয়া নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক গ্রহণ করা হবে। ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ভোটার এলাকা স্থানান্তর, মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেয়া এবং নতুন তথ্য আপলোড করা হবে।
নতুন ভোটারদের তথ্য ২০২৬ সালের ২ জানুয়ারি তালিকায় যুক্ত হবে। এরপর আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ। এর আগে ২ জানুয়ারি প্রকাশিত খসড়া তালিকায় ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২।
এসি//