আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংকারের সন্ধান, কোটি টাকার ফেনসিডিল উদ্ধার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নদীয়া জেলায় বাংকারের ভেতর থেকে ৬২ হাজার ২০০ বোতল নিষিদ্ধ কাশের সিরাপ ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা এসব ফেনসিডিলের বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা।  ভারতের সংবাদমাদধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এনডিটিভি'র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।   

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে  ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী, বিএসএফ ও পুলিশের একটি যৌথ দল মাজদিয়া শহরের কাছে নঘাটা গ্রামে অভিযান চালায়। পরে জঙ্গল ও টিন দিয়ে ঢাকা তিনটি বাংকারের ভেতর থেকে এসব নিষিদ্ধ কাশের সিরাপ উদ্ধার করে।

সীমান্ত এলাকায় মাটি কেটে এসব বাংকার তৈরি করা হয়েছিল। এরপর গর্তের মধ্যে ধাতুর তৈরি বাক্স রাখা হয়। সেগুলোর ভেতরে ফেনসিডিলের বোতল রাখা হয়েছিল।

ভারতের উৎপাদিত কোডেন সমৃদ্ধ কাশের সিরাপ ফেনসিডিল বাংলাদেশে ব্যবহার নিষিদ্ধ। 

বিএসএফের সাউদ ফ্রন্টিয়ারের মুখপাত্র এনকে পান্ডে বলেন, এত বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধারে আমরা খুবই হতবাক।  ফেনসিডিল পাচার একটি বড় সমস্যা, তবে সহজে পাচারের জন্য পাচারকারীদের এরকম কৌশল সম্পর্কে আমাদের জানা ছিলো না। নির্ভর যোগ্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে টুঙ্গি বর্ডার আউট পোস্ট ও কিশোরগঞ্জ পুলিশ স্টেশনের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এত বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল আটক চোরাকারবারিদের জন্য একটা বড় ধাক্কা।

বিএসএফের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এসব বাংকার ব্যবহার করে চোরাকারবারিরা সীমান্তে নজরদারি করতে পারে। কেননা এতে কোটি কোটি রুপির ব্যবসার বিষয়টি জড়িত। আমরা ৬২ হাজার ২০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছি, তবে এখানে এর থেকেও বেশি মজুদ করা সম্ভব। ধারণা করছি, এখান থেকে অনেক ফেনসিডিল ইতোমধ্যে পাচার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা তিনটি বাংকারের সন্ধান পেয়েছি, যেখানে ফেনসিডিল লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দুইটি গাছ, লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিলো, অন্যটি টিন দিয়ে ঢাকা ছিলো।

এনকে পান্ডে বলেন, ফেনসিডিলের বোতলগুলো কার্টুনে প্যাকেট করা ছিলো। এগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব কারা উৎপাদন করেছে ও কীভাবে আসলো তা তদন্ত করা হচ্ছে।  

 

 

 এনএস/ 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বাংলাদেশ-ভারত