গাজা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ষড়যন্ত্র কিছুতেই থামছে না। এবার যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটির বাসিন্দাদের নিয়ে ফাঁস হয়েছে ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা। আর এই পরিকল্পনার পর্দা ফাঁস করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এসোসিয়েটেড প্রেস, এপি।
সংবাদ সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস বলছে, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে আফ্রিকার তিনটি দেশে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। এসব দেশের মধ্যে আছে সুদান, সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ড। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশকিছু মার্কিন ও ইসরাইলি কর্মকর্তা বলছে, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে আফ্রিকার ওই তিন দেশের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এসব দেশের সরকারকে রাজি করাতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক, কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা প্রণোদনা । ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে একটি চুক্তির মাধ্যমে সুদানসহ আরবের বেশ কয়েকটি দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে। আব্রাহাম একোর্ডস নামে ওই চুক্তি সম্পাদনে ঠিক একই ধরনের প্রণোদনা দিয়েছিলো তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সুদানি কর্মকর্তা ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা বলছেন, ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসন সুদানের সেনাবাহিনী শাসিত সরকারের সঙ্গে কথা বলছে। সুদান ফিলিস্তিনিদের নিতে রাজি হলে পাওয়া যাবে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা।
আর সোমালিয়া থেকে বেরিয়ে ৩০ বছর আগে সোমালিল্যান্ড নামে আফ্রিকায় নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। রাষ্ট্রটি এখনো কোন দেশের স্বীকৃতি পায়নি। ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিতে সোমালিল্যান্ড রাজি হলে, বিনিময়ে পাবে মার্কিন স্বীকৃতি।
আফ্রিকার আরেকদেশ সোমালিয়া সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের নিয়ে আরব দেশের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়। রাষ্ট্রটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রেরও কট্টর সমর্থক। ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে আফ্রিকার এক প্রখ্যাত আইনজীবি ও সংঘাত বিশেষজ্ঞ বলছেন, সোমালিয়া ফিলিস্তিনদের কট্টর সমর্থক। এটা বোধগম্য হচ্ছে না, রাষ্ট্রটি কেনো ট্রাম্পের প্রস্তাবে রাজি হবে। তবে ওই বিশেষজ্ঞ বলছেন, বিশ্বে অনেক রাষ্ট্রই তাদের নীতি পরিবর্তন করছে। তবে ফিলিস্তনিদের আশ্রয়ে সোমালিয়াকে বেছে নেয়ার কোন গোপন এজেন্ডা থাকতে পারে।
এদিকে ট্রাম্পের নয়া পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সঙ্গে যোগাযোগ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপি। তবে তাদের কেউ এ ব্যাপারে মুখ খুলেনি। তবে ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেন, ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে কোন কোন দেশে নেয়া যায়, সে ব্যাপারে তেল আবিব কাজ করছে।
এনএস/