গেল বছরের ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ছিল। সেদিন রাজধানীসহ সারাদেশে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ৩১ জন নিহত হন।
এর মধ্যে রাজধানীতে ২৪ জন, চট্টগ্রামে ও নরসিংদীতে দু’জন করে এবং রংপুর, সাভার ও মাদারীপুরে একজন করে নিহত হন। আহত হন প্রায় দেড় হাজার মানুষ।
সেদিন মেরুল বাড্ডায় শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে আশ্রয় নেয় একদল পুলিশ। তাদেরকে হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করা হয়। রাজধানীর রামপুরায় বিটিভি ভবন এবং মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ডাটা সেন্টার ও সেতু ভবন এবং উত্তরা-পূর্ব থানায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। মিরপুর, মহাখালী, বাড্ডাসহ কয়েকটি এলাকায় পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে ও ভাঙচুর করা হয়।
১৮ জুলাই বেলা ১২টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। রাত ৯টার পর থেকে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিন দেশের ৪৭ জেলায় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। ঢাকাসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় সরকার। এর প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুকে পোস্টে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘গুলির সঙ্গে কোনো সংলাপ হয় না’।
পরের দিন ১৯ জুলাই (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর গায়েবানা জানাজা এবং সারাদেশে শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন নাহিদ ইসলাম।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের শতাধিক ছাত্রলীগে নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেন।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা মৌলিক মানবাধিকার। বাংলাদেশ সরকারের উচিত মানুষের এ অধিকার নিশ্চিত করা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের প্রশিক্ষিত ক্যাডার বাহিনী তাণ্ডব চালাচ্ছে। তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে চেপে বসেছে বিএনপি-জামায়াত।
এমএ//