খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতার’ ব্যানারে দ্বিতীয় দিনের মতো অবরোধ চলছে। যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জেলা শহর ও এর আহসপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। অবরোধ চলাকালে গুইমারায় একটি বাজারে আগুন দেওয়া হয়েছে। আগুনে বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান ও কয়েকটি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে গুইমারা উপজেলার রামেসু বাজারে এ ঘটনা ঘটে।গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাজারটি চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে। এরই মধ্যে আগুন দেওয়ার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। বাজারের দোকানমালিকদের অধিকাংশ পাহাড়ি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা মংসাজাই মারমা ও কংজরী মারমা দাবি করেন, অবরোধের সমর্থনে তারা খাদ্যগুদামের সামনের সড়কের ওপর শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিলেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এলে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের ওপর গুলি করেন। গুলির পরপরই লোকজন এসিক সেদিক পালিয়ে যান।
তারা অভিযোগ করেন, এরপর ২০-২৫ জন লোক এসে রামেসু বাজার ও বসতবাড়ি লুটপাট করে এবং যাওয়ার সময় আগুন ধরিয়ে দেন। এসব লোকের সঙ্গে মুখোশ পরা লোকও ছিল। দোকানপাট ও বসতবাড়ির সঙ্গে অনেকগুলো মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে গুইমারায় ইউপিডিএফ-এর হামলায় ১২ সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। সকাল থেকে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের নেতৃত্বে কোন কর্মসূচি ছাড়া গুইমারার বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে।
পরে খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। এসময় ইউপিডিএফ-এর হামলায় আহত হন ১২ সেনা সদস্য।
অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি শহরে আজ সকাল থেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শহরের মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থান দেখা গেছে। বাজার এবং বাজারের আশপাশে কোনও দোকানপাট খোলেনি। প্রয়োজনীয় কাজে যারা বের হচ্ছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
আই/এ