রাজশাহীর তানোরে গর্তে পড়ার ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে শিশু সাজিদকে। তাকে বর্তমানে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এর পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের তথ্যমতে, যে গর্তে শিশুটি পড়ে ছিল সেটি ছিল ১৫০ থেকে ২০০ ফুট গভীর। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় ৫০ ফুটের মতো গর্ত করা সম্ভব হয়। রাত ৯টার দিকে ৫০ ফুট গভীর থেকে শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
বুধবার দুপুরে তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট গ্রামে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। শিশু সাজিদ তার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ির পাশের একটি জমি পার হচ্ছিল। জমিটি খড় দিয়ে ঢাকা ছিল। সাজিদের মা জানতেন না যে খড়ের নিচেই রয়েছে একটি অরক্ষিত গভীর নলকূপের গর্ত। হাঁটার সময় হঠাৎ সাজিদ গর্তে পড়ে যায়। পেছন থেকে তার চিৎকার শুনে মা ফিরে দেখেন সাজিদ নেই। খড় সরাতেই বেরিয়ে আসে গভীর নলকূপের খোলা পাইপ।
স্থানীয়রা জানান, গত বছর স্থানীয় এক ব্যক্তি এখানে গভীর নলকূপ স্থাপনের চেষ্টা করেন। কিন্তু ১২০ ফুট নিচেও পানি না পাওয়ায় পাইপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় মুখ খোলা রেখেই ফেলে রাখা হয়। গত বছরের বৃষ্টিতে গর্তটির মুখ আরও বড় হয়। কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বা ঢাকনা না থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এর আগে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ৪০ ফুট পর্যন্ত মাটি খনন করেও শিশুর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তবে হাল না ছেড়ে আরও গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছে উদ্ধারকারী দল। তিনটি এক্সকেভেটর দিয়ে একসঙ্গে মাটি খননের কাজ চলছে। মাটির গঠন ঠিক রেখে এবং ধস ঠেকাতে চারপাশ থেকে স্লোপ বা ঢালু করে গর্তটি বড় করা হচ্ছে।
সকলের চেষ্টা সফল করে অবশেষে শিশু সাজিদকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
আই/এ
