নওগাঁর ভোরগুলো এখন কুয়াশায় মোড়া। যেন আকাশ থেকে নেমে আসা সাদা চাদর ধীরে ধীরে ঢেকে দিচ্ছে জনপদ, মাঠ-ঘাট আর পথঘাট। বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, তার সঙ্গে বইছে হালকা শীতল বাতাস। দিন যত গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে শীতের দাপট। ঘন কুয়াশার আচ্ছাদনে শীত যেন স্থায়ী আসন গেড়েছে এ অঞ্চলে।
কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই ছোট-বড় সব যানবাহনকে চলাচল করতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা এতটাই কম যে ধীরগতিতে চলাচল ছাড়া উপায় থাকছে না। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে নওগাঁর মানুষদের।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বদলগাছী আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণ অফিসের তথ্যমতে, আজ সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকালের তুলনায় প্রায় ১ ডিগ্রি কম।
বদলগাছী কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। ঘন কুয়াশা ও আকাশে হালকা মেঘের কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না, ফলে শীতের অনুভূতিও বেড়েছে। তিনি খুব প্রয়োজন না হলে ভোরবেলা ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন।
শীতের এই সময়ে যারা জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হচ্ছেন, তাদের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। ভ্যানচালক, রিকশাচালক, মোটরসাইকেল ও সাইকেল আরোহীরা কুয়াশার মধ্যে চলাচল করতে গিয়ে পড়ছেন নানা ঝুঁকিতে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষজন।
হাড় কাঁপানো এই শীতে অনেকের শরীরে নেই পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র। তাই তারা সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালীদের প্রতি শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। কুয়াশা আর শীতের এই দিনে উষ্ণতার একটু ছোঁয়াই পারে তাদের কষ্ট লাঘব করতে।
এসি//