এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ নেওয়ার অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেছেন, আটক র্যাব সদস্যরা এমন অপরাদে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাদের কারাদণ্ড এমনকি চাকরিচ্যুতিও হতে পারে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তাকৃত চার সদস্যকে ইতোমধ্যেই র্যাবের কাছে আনা হয়েছে। তাদের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাহলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত হবে।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, কোনো ধরনের সহানুভূতি দেখানো হবে না। এই পর্যন্ত র্যাবে যতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বাহিনী কোনো ব্যক্তির অপরাধের দায় নেয় না। র্যাবে অপরাধ করলে শাস্তি দেওয়ার গড় শতভাগ।
তিনি বলেন, একটি বড় বাহিনীর দু’একজনের জন্য র্যাব কলুষিত হোক, এটা আমরা কেউই চাই না। র্যাবের একশ’জন যদি অপরাধ করেন, তাহলে একশ’জনকেই শাস্তির আওতায় আনা হয়। এক্ষেত্রে অন্যায়কারী সদস্যরা চাকরিচ্যুত হয়, এমনকি কারাদণ্ডিতও হয়। র্যাবে চাকরি করা অবস্থায় কেউ যদি অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে র্যাব আগে থেকেই কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিয়ে আসছে। অন্যায় করে র্যাবে থাকার সুযোগ নেই।
তবে গ্রেপ্তারকৃত র্যাব সদস্যদের পরিচয় জানাননি এই কর্মকর্তা। তারা কোন ব্যাটালিয়নের জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, এরা নির্দিষ্ট কোনো ব্যাটালিয়নের নয়।
এর আগে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বিকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, অপহরণ করে মুক্তিপণ নেওয়ার অভিযোগে চার র্যাব সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, এই অপহরণ চক্রে মোট ছয়জন সদস্য ছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন হলেন সেনাবাহিনীর, একজন বিমান বাহিনীর, একজন বিজিবির ও আরেকজন সাধারণ মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে বিজিবির সদস্য ও সাধারণ নাগরিক পলাতক রয়েছেন।
শুভ মাহফুজ
