মাদারীপুরের রাজৈরে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার (১২ এপ্রিল) মাদারীপুরের রাজৈরের আমগ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কৌশলে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় প্রতিবেশী ওই তরুণ (২৫)। পরে একটি ঘরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। এ সময় তাকে মারধরও করা হয়।
সবশেষ শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে ওই কিশোরীর মুখ ও হাত-পা বেঁধে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে হত্যার উদ্দেশে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি স্বজনদের। সেসময় ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় আওয়াজ শুনে পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় ওই তরুণ ও তার সহযোগীরা। পরে গুরুতর অবস্থায় নির্যাতিতাকে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে।
নির্যাতিতার পরিবার দাবি করেন, জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় প্রতিবেশীকে শায়েস্তা করতে এ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত। এমন ঘটনার আর যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে এজন্য অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি পরিবারের।
শিক্ষার্থীর মা জানান, মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে ওই তরুণ। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে হত্যা করে মরদেহ গুম করার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু সেটা ব্যর্থ হয়েছে। এ ঘটনার কঠিন বিচার চান তিনি।
রাজৈর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সাদী বলেন, শিক্ষার্থী অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে, শিক্ষার্থী নিখোঁজ হবার পর পরিবারের পক্ষ থেকে জিডি করা হয়েছিল। তারপর থেকেই পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে।
শুক্রবার রাতে নিখোঁজ শিক্ষার্থী উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। পরে তার মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয় বলে বলে জানান থানার ইনচার্জ।
