ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে পূর্ব রাতোর গ্রামে দুর্ঘটনা বশতঃ পুজোর প্রদীপের আগুন লেগে ১৯টি বাড়ির প্রায় ৩০ ঘর পুড়ে ছাই এবং এ সময় ২ শিশু দগ্ধ হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জ্বলন্ত আগুনে গরু-ছাগল,ঘরের মালামালসহ ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকার মত ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাতোর গ্রামের জনৈক পাথানুরের বাড়ির ঠাকুরঘরে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা বশতঃ এই আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফলে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে চারিদিক। খবর পেয়ে রাণীশংকৈল স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের ৩ ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। আগুনে ৩৮ টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং আগুনে ২ শিশু দগ্ধ হলে তাদের চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, রাতোর ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান শরৎ চন্দ্র, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকতার হোসেন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সবুর, স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হলো বুদ্ধি নাথ রায়,ভেনসা রায়,ঘগেন চন্দ্র,পাথানু মোহন,মাঝিল রায়, কামিনী বালা রায়, ধনদেব রায়,বকুল চন্দ্র, ফুলশরি বালা, হরিপদ রায়,সফিন চন্দ্র, গোবিন্দ রায়, আলতা রায়, তুরেন চন্দ্র,গদা রায়সহ অনেকে।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে নগদ ২ হাজার টাকা,কম্বল,খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল জুলকার নাইন কবির বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে পরবর্তী সাহায্যের জন্য লিখিত আবেদন চাওয়া হয়েছে। পরে সরকারি ভাবে তাদের সহযোগিতা করা হবে।
এস মুন্নী
