আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মোদির পদত্যাগ চাওয়া পোস্ট আটকে দিল ফেসবুক

মোদির পদত্যাগ চাওয়া পোস্ট আটকে দিল ফেসবুক

কৃষক আন্দোলন এবং কোভিড সংকট নিয়ে প্রকাশ্যে সরকারের সমালোচনা করায় আগেই বাতিল করা হয়েছিল সাংসদ-বিধায়কদের টুইট। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদত্যাগের দাবি তুলে চালু হওয়া হ্যাশট্যাগে দেওয়া কয়েক হাজার পোস্ট আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ফেসবুকের বিরুদ্ধে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ‘নির্দেশে’ তারা এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও ‘ভুলবশত’ ওই হ্যাশট্যাগ আটকে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। দেশটিতে করোনা সংকট যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এবং তার প্রকোপে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যে বিপর্যয় নেমে এসেছে, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করেছেন সাধারণ মানুষ। ব্যর্থতার দায় নিয়ে মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে বলে দাবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ 'রিজাইনমোদি' লিখে পোস্ট করছেন তারা।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে টুইটার এবং ফেসবুকে অন্যতম জনপ্রিয় হ্যাশট্যাগ হিসেবে উঠে এসেছিল সেটি। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে টুইটারের হ্যাশট্যাগের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এই #রিজাইনমোদি। কিন্তু বুধবার বেশ কিছুক্ষণের জন্য ফেসবুক ওই হ্যাশট্যাগ বন্ধ করে দেয়। #রিজাইনমোদী দিয়ে কিছু লেখা পোস্ট করতে গেলেই সেটি ‘ব্লক’ করে দেওয়া হয়েছে বলে বার্তা ভেসে ওঠে। শুধু তাই নয়, ওই হ্যাশট্যাগ দেওয়া সমস্ত পোস্টও সরিয়ে নেওয়া হয়। বলা হয়, ওই হ্যাশট্যাগ ফেসবুকের নীতির পরিপন্থী। এর জেরে বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য ওই হ্যাশট্যাগ দেওয়া কোনো লেখা পড়া যাচ্ছিল না। অবশ্য শুধু ভারতের ক্ষেত্রেই ওই হ্যাশট্যাগ আটকে দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ব্রিটেনের মানুষ তা পড়তে পারছিলেন।

এ নিয়ে একের পর এক অভিযোগ আসতে শুরু করলে ফেসবুকের বিরুদ্ধে সরব হন নেটিজেনরা। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ তাদের। অনেকে ফেসবুক বয়কটের ডাকও দেন। তারপরই প্রায় ঘণ্টা তিনেক পর ওই হ্যাশট্যাগ দেওয়া লেখা ফের নজরে আসতে শুরু করে। এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে ফেসবুকের মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন বলেন, ‘ভুলবশত সাময়িকভাবে ওই হ্যাশট্যাগ আটকে দেওয়া হয়েছিল। ভারত সরকারের নির্দেশে সেটি বন্ধ করা হয়নি।'

কিন্তু ফেসবুকের এই দাবিও ধোপে টিকছে না অনেকের কাছেই। কারণ মহামারি পরিস্থিতিতে এ নিয়ে দ্বিতীয় বার মোদি সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে এমন লেখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তুলে নেওয়া হলো। এর আগে, কোভিড সংকট সামাল দেওয়ায় সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খোলায় পশ্চিমবঙ্গের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, সাংসদ রেবানাথ রেড্ডি, অভিনেতা বিনীতকুমার সিংহ, চিত্র নির্মাতা বিনোদ কাপরি এবং অবিনাশ দাসের হ্যান্ডলের মতো একাধিক বিশিষ্ট মানুষের টুইট তুলে নেয়া হয়।

জানা গেছে, গত ২২ এবং ২৩ এপ্রিল ওই টুইটগুলো নিষিদ্ধ করতে টুইটার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেন মাইক্রোব্লগিং সাইট কর্তৃপক্ষ।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মোদির | পদত্যাগ | চাওয়া | পোস্ট | আটকে | দিল | ফেসবুক