আজকে অনেক দেশ জ্বালানির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও পুরনো কয়লা খনি সচল করছে। পাকিস্তান ৩০ বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। শ্রীলঙ্কার মতো দেশও একটা পরিকল্পনা নিয়েছে। বাংলাদেশকেও একটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বলেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এসব কথা বলেন।
‘বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আভাস ও বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ উত্তরণ কোন পথে?’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিপিডি।
সিপিডি নির্বাহী পরিচালক বলেন, আজকে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের সংকটের ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ। কিছুদিন আগে মূল্য দিয়ে জ্বালানি পাওয়া যেত এখন মূল্য দিয়েও তা পাওয়া যায় না। লোডশেডিং একটা একটা নিত্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গেলো ৪ অক্টোবর পর্যন্ত আট ঘণ্টা লোডশেডিং দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন পেট্রলপাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলোতে গাড়ির লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। জ্বালানি সংকটের কারণে ব্যক্তি পরিবার পর্যায়ে যেমন ভুক্তভোগী হচ্ছি তেমনি শিল্প উৎপাদনও কমে যাচ্ছে। চলমান জ্বালানি সংকটে সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি, গ্যাস অনুসন্ধান বাদ দিয়ে আমদানির দিকে ঝুঁকছে দেশ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী মন্দার বিষয়টি চলমান ও তা আরও ধীরে ধীরে ঘনীভূত হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি ইতিহাসের চূড়ান্ত চূড়ায় এবং তা লাগামহীন। বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আভাস দেখা গেছে। সারাবিশ্ব জুড়েই মূল্যস্ফীতি ঐতিহাসিকভাবেই ঊর্ধ্বগতিতে রয়েছে। বিভিন্ন দেশে প্রবৃদ্ধি হয় নিচে, অথবা নেতিবাচক দিকে রয়েছে। আমরাও সেই প্রভাব অনুভব করছি। এই সংকটটি চলমান ও ঘনীভূত হচ্ছে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি লাগামগীন। আন্তর্জাতিক পণ্যের দামও বেশি। আবার দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও বেশি। খাদ্য সংকটেরও আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ‘এফএও’ পৃথিবীর ৪৫টি দেশ খাদ্য সংকটের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে, এই তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, মুনতাসির কামালসহ সংগঠনটির গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।