সর্বোত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) জন্য বাংলাদেশকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন চুল্লি দেয়া হবে। এছাড়া আগামী বছরের অক্টোবরে আরএনপিপি’র জন্য তাজা পরমাণু জ্বালানি বাংলাদেশে আসবে। বললেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা-রোসাটম’র মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে আলেক্সি লিখাচেভ এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সূত্র : বাসস
রোসাটম মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তারা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে তাজা পরমাণু জ্বালানির আগমন উদযাপন করতে চান।
তারা আরএনপিপি’র জন্য বাংলাদেশি জনশক্তিকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশে পরমাণু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা চালাতে আগ্রহী।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া রাশিয়া বাংলাদেশে পরমাণু শাসনের অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা দেয়া হবে।
বৈঠকের শুরুতে আলেক্সি লিখাচেভ আরএনপিপি’র কাজের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত এবং ব্যাখ্যা করেন।
প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সহায়তা প্রদান এবং পুরোদমে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখার জন্য রাশিয়ার প্রতি বিশেষ করে রোসাটম ডিজিকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহায়তার জন্য রাশিয়ার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি কর্মীরা যাতে স্বাধীনভাবে আরএনপিপি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে সক্ষম হতে পারে সেজন্য রাশিয়ান স্টেকহোল্ডাররা
আরএনপিপি’র জনশক্তি উন্নয়নের ওপর জোর দিতে পারে। তিনি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার প্রতি গুরুত্ব দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান, রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিতস্কি প্রমুখ।