বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তে আবারও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। মর্টার শেল এবং গুলির বিকট শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে। এ ঘটনায় ছেড়ারমাঠ এলাকার দেড় শতাধিক পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়।
শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত গোলাগুলি বাড়তে থাকে সীমান্ত এলাকায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল আবছার।
তিনি বলেন, শনিবার সকালে ফের গুলির শব্দ শোনা যায় চাকঢালা ও দৌছড়ি সীমান্তের ওপারে। কিন্তু বিকেলের দিকে চাকঢালা সীমান্তের ৪৩ ও ৪৪ নম্বর সীমান্ত পিলারের ছেড়ারমাঠ এলাকায় গোলাগুলির পরিমাণ বেড়ে যায়। সীমান্তের ওপারে বিকট শব্দে মর্টার শেল এবং গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আতঙ্কিত দেড়শ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তাদের সরিয়ে নওয়ার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রেজু, আমতলী, ফাত্রাঝিরি, হেডম্যানপাড়া এবং দৌছড়ি ও সদর ইউনিয়নের সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে মিয়ানমার বাহিনীর দুই মাস ধরে সংঘাত চলছে।
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর ব্যবহৃত যুদ্ধ বিমান এবং ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকে নিক্ষেপ করা গোলা এসে পড়ছে বাংলাদেশ সীমান্তে। মাঝেমধ্যেই মর্টার শেলের গোলা এবং ভারী অস্ত্রের গুলি এসে পড়ছে ঘুমধুম সীমান্তে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর উড়ে এসে পড়া মর্টার শেলের গোলা বিস্ফোরিত হয়ে শূন্যরেখায় আশ্রয় নেয়া এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও ৫ জন।