করোনাভাইরাসের অভিঘাত পাশাপাশি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বব্যাপী উন্নত দেশগুলো এখন হিমশিম খাচ্ছে। সেইসঙ্গে শ্লথ হয়েছে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিও। আর তাই নিজেদের সম্পদ-মাটি-মানুষ দিয়েই এই সংকটকালে দেশকে সুরক্ষিত রাখায় খাদ্য উৎপাদনে সকলকে মনোযোগী হতে হবে। বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (৩০ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নেভাল এভিয়েশন হ্যাঙ্গারে দেশের সমুদ্রসীমা সুরক্ষায় নৌবাহিনীর নেভাল এভিয়েশনে মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট (এমপিএ) সংযোজন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়ার প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়েছে। কিন্তু সকলকে চেষ্টা করতে হবে যে এর থেকে যেন নিজেরা মুক্ত থাকতে পারি।
নৌবাহিনীর বহরে নতুন করে দুটি মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট (এমপিএ) সংযোজন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দুটি এমপিএ সংযোজনের ফলে নেভাল এভিয়েশনের ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। সমুদ্রসীমার সুরক্ষা দেয়ার জন্য অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করতে হবে।
ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগে দ্বীপাঞ্চল থেকে উপকূল এবং সমুদ্রসীমা সুরক্ষায় সব সময় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট এবং সাবমেরিনসহ আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। সমুদ্রের তলদেশ থেকে শুরু করে সমুদ্র এবং সবই যেন সুরিক্ষত থাকে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে সমুদ্র এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করছে। যা প্রশংসার দাবি রাখে। শুধু তাই না, বন্যার সময় উদ্ধার কাজে, লঞ্চডুবি , নানা দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় নৌবাহিনীর সদস্যরা ভূমিকা রাখে।
এর আগে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী যুক্ত হলে তাকে স্বাগত জানান নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। এসময় নেভাল এভিয়েশনের একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার প্রদান করে।