কয়েকদিন আগে আমার ওপর আক্রমণ করা হয়েছিল, এটি আপনারা সবাই জানেন। কেন করা হয়েছিল সে বিষয়ে আজ বাংলাদেশ প্রতিদিনে একটি আর্টিকেল লিখেছেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। এর আগে মুনতাসীর মামুনও লিখেছিলেন। তারা লিখেছেন— আমি এক রায়ে খুনি জিয়াকে ঠান্ডা মাথার খুনি বলে উল্লেখ করেছিলাম। আর এই রায় তো সারাজীবন বেঁচে থাকবে। এটি খুনি জিয়ার লোকদের পছন্দ হয়নি। বললেন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারবর্গ আয়োজিত ‘৭ নভেম্বর : মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবসের প্রতিবাদ সভা’য় তিনি এসব কথা বলেন।
বিচারপতি মানিক বলেন, এই ঠান্ডা মাথার খুনির কবর আমাদের মহান সংসদ ভবনের চত্বরে রয়েছে। তার এই স্থাপনা অবিলম্বে সরিয়ে দেয়া হোক। এখানে তিন জন সংসদ সদস্য আছেন, তাদের কাছে আমার এই দাবি। একইসঙ্গে তার মরণোত্তর বিচার অবশ্যই করা হোক।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারবর্গের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীরবিক্রমের কন্যা ও সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীরউত্তমের কন্যা মাহজাবিন খালেদ, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, সশস্ত্র বাহিনীতে হত্যাকাণ্ড নিয়ে গবেষক আনোয়ার কবির প্রমুখ।