আর্কাইভ থেকে পরামর্শ

ব্যাঙের ছাতার এত গুণ!

ব্যাঙের ছাতার এত গুণ!
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা মাছ-মাংস খেতে পছন্দ করেন না, তাদেরকে মাশরুম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা। ইদানীং আবার ভেগান ডায়েটেরও চল হয়েছে। প্রাণীজ কোনও খাবারই খান না ভেগানরা। আর তাই মাংসের মতোই খেতে এই মাশরুম বাঙালির রান্নাঘরে ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাশরুমে যে পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়, তা বিভিন্ন ডাল বা শাকসব্জির চেয়ে অনেকটাই বেশি। এ ছাড়াও মাশরুমে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ ফাইবার। যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষায় সাহায্য করে। মাশরুমে রয়েছে বিটা গ্লুকান নামক এক ধরনের ফাইবার, যা কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। এই বিটা গ্লুকান ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। কমায় টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। মাশরুমে থাকে একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ফ্রি র‌্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে তা শরীরকে রক্ষা করে। ফ্রি র‌্যাডিক্যাল অনেক সময় হৃদরোগ আর ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরে তার মাত্রা কমানো জরুরি।
গুণ
গুণ
মাশরুমে রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। রাইবোফ্লাভিন লোহিত রক্তকণিকার স্বাস্থ্যরক্ষা করে, নিয়াসিন পাচনতন্ত্র ভাল রাখে আর প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড যত্ন নেয় স্নায়ুতন্ত্রের।

মাশরুম খাওয়ার পদ্ধতি

মাশরুম যে কেবল খেতেই সুস্বাদু তাই নয়, এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাশরুম রাখা উচিত। তবে আবর্জনায় উৎপন্ন মাশরুম না খেয়ে শুধু চাষ করা মাশরুম খেতে হবে। এটি ভেজে, সুপ করে বা রান্না করে কিংবা সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়। কাঁচা বা শুকনা মাশরুম ১৫ থেকে ২০ মিনিট ফুটানো গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে পানি ফেলে দিতে হয়। মাশরুম ফ্রাই করে বা সবজির মতো রান্না করেও খাওয়া যায়। এছাড়া তরকারি বা মাছ-মাংসের মধ্যে দিয়ে রান্না করে খাওয়া যায়। সম্পূরক খাদ্য হলেও অন্যান্য খাবারের সাথে রান্না করলে এর স্বাদ বহুগুণে বেড়ে যায়। অনেক আগে থেকে ব্যবহার করে আসা মাশরুমের গুনাবলী বলে শেষ করার মতো নয়। তাই আসুন বেশী বেশী করে মাশরুম খাই এবং আমাদের শরীরকে করে তুলি রোগ প্রতিরোধ্য।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ব্যাঙের | ছাতার | এত | গুণ