আর্কাইভ থেকে ফুটবল

মার্তিনেসের আচরণ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে তাঁর ক্লাব

মার্তিনেসের আচরণ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে তাঁর ক্লাব
বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেসকে নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। সোনার গ্লাভসের পুরস্কার নিয়ে তাঁর কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিই হোক বা পুতুলের মুখে কিলিয়ান এমবাপের মুখোশ পরানো, বিভিন্ন কারণে তিনি এসেছেন শিরোনামে। ভবিষ্যতে ক্লাবের হয়ে যাতে কোনও বিতর্কে জড়িয়ে না পড়েন, তার জন্য আগেভাগেই তাঁকে সতর্ক করে দিতে চান অ্যাস্টন ভিলার কোচ উনাই এমেরি। না মানলে ভবিষ্যতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ক্লাব সূত্রের খবর। বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এমবাপে। পুরস্কার মঞ্চে এমবাপেকে পাশে ডেকে নেন অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক। কিন্তু পরের দিন থেকেই এমবাপেকে তীব্র কটাক্ষ করতে শুরু করেন মার্তিনেস। ফ্রান্সের ফুটবল সংস্থার অভিযোগ, মার্তিনেস সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছেন। গ্রিট বলেছেন, ‘আমি আর্জেন্টিনার ফুটবল সভাপতিকে চিঠি লিখেছি। মার্তিনেসের আচরণ আমাদের কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। বিশ্বকাপ একটা প্রতিযোগিতা। জয়-পরাজয় থাকবেই। ওর এই আচরণ বোধগম্য হচ্ছে না। মার্তিনেসের আচরণ সব সীমা অতিক্রম করেছে।’ আর্জেন্টিনায় ফিরে বিজয় উৎসবের সময়ও মার্তিনেসের হাতে ছিল একটি পুতুল। পুতুলের মুখে এমবাপের মুখের ছবি কেটে বসিয়ে দিয়েছিলেন মার্তিনেস। তাঁর এই আচরণ অত্যন্ত অপমানজনক মনে হয়েছে ফ্রান্সের ফুটবল সংস্থার। প্রতিবাদ জানিয়ে আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার সভাপতি ক্লদিয়ো তোপিয়াকে চিঠি দিলেন ফ্রান্সের ফুটবল সংস্থার সভাপতি নোয়েল লি গ্রিট। এমবাপেকে নিয়ে আর্জেন্টিনার গোলরক্ষকের রসিকতায় ক্ষুব্ধ ফ্রান্সের সাধারণ মানুষ। চটেছেন নেতা-মন্ত্রীরাও। অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মায়ার বলেছেন, মার্তিনেস যে ভাবে এমবাপে এবং কোচ দিদিয়ের দেশঁকে অপমান করছে, ফিফার উচিত তদন্ত করা। আর্জেন্টিনার ফুটবল সমর্থকরা বিজয় উৎসবে এমবাপের কুশপুতুলও পুড়িয়েছিলেন। সেই ঘটনাও ভাল ভাবে নেয়নি ফ্রান্স।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মার্তিনেসের | আচরণ | নিয়ে | চিন্তায় | পড়ে | গিয়েছে | তাঁর | ক্লাব