আমাদের জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম থেকে শুরু করে গ্যাসের সংকট বেড়েছে। দেশের সাধারণ, নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা একটু বিপদে আছি, এটি সত্য। তারপরেও আমাদের নেত্রীর বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের পরিস্থিতি এখনো স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ।
আজ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ক্রাইসিসকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে যাচ্ছি, আমাদের রিজার্ভ আরও বাড়বে। রফতানি আয় ক্রমেই বাড়ছে। জিডিপিও (মোট দেশজ উৎপাদন) বাড়বে।
চট্টগ্রামের উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম নদীর তলদেশে টানেল হচ্ছে। কেউ ভাবতে পারেননি চীনের সাংহাইয়ের মতো ওয়ান সিটি টু টাউন হবে। এখন টানেলের মাধ্যমে সেটা হচ্ছে। এখন দুই টিউবের কাজ শেষ হয়েছে। পুরো প্রকল্পের ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এখন ভেতরে ইলেকট্রো মেকানিক্যাল কাজ চলছে। আগামী এপ্রিল-মে মাসের দিকে সর্বসাধারণের জন্য এ টানেল খুলে দেয়া হতে পারে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি বা সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হয়েছে। এখন প্রকল্প নেয়ার বিষয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে প্রকল্প তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্রাইসিস ম্যানেজার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখনো কঠিন বৈশ্বিক পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার মতো একজন দক্ষ লিডারের কারণে তা সম্ভব হয়েছে। তিনি আমাদের ক্রাইসিস ম্যানেজার। যথার্থ সময়ের ক্রাইসিস ম্যানেজার, সংকটের ম্যানেজার। যিনি সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা, তিনি বাংলাদেশের রূপান্তরের রূপকার। তিনি করোনা সংকটেও সারাবিশ্বের বিস্ময় হিসেবে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিনাপয়সায় ভ্যাকসিন দিয়ে অনেক উন্নত দেশের রেকর্ডও ভঙ্গ করেছেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামনে আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নির্বাচন। আগামী বছরের জানুয়ারিতে নির্বাচন কমিশন সেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে তেমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং করণীয় সম্পের্কে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সংসদীয় কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারদলীয় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বিস্তারিত বলেছেন। তার নির্দেশ আমরা পালন করছি, করবো। আমরা মোকাবিলা করছি, বিরোধী দলের আন্দোলনও। সামনে বিরোধীদলের আন্দোলনে তিনি রাজপথে থাকার অঙ্গীকার করেন।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ ছালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দীন রেজা, সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
