ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ১ নম্বর সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় আদালতে করা মামলার বাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইমতিয়াজ হাসান জনিকে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে জনিকে রাজধানীর স্বামীবাগের বাসা থেকে পুলিশ নিয়ে যায় বলে ইশরাক হোসেন জানান।
ফেসবুক পোস্টে ইশরাক লিখেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হামলার ঘটনায় আমাদের করা মামলা তদন্ত করতে এসে উল্টো বাদীকে ধরে নিয়ে গেল ওয়ারী থানা পুলিশ।
ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ইশরাক। তাতে দেখা যায়, কয়েকজন মিলে পুলিশের একটি ভ্যানকে আটকানোর চেষ্টা করছেন। ভ্যানচালক ক্রমাগত হর্ন বাজাচ্ছেন, একটু ফাঁক পেতেই পুলিশের গাড়িটি জোরে টান দিয়ে বের হয়ে যায়।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মফিজুল আলম বলেন, গোলাপবাগে গেলো ১০ ডিসেম্বর পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে জনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জনির স্ত্রী শাহনাজ মুক্তার দাবি, রাত ৮টার দিকে ওয়ারী থানা থেকে শামসুল আলম নামের একজন পুলিশ সদস্য তাদের বাসায় যান। জনির করা মামলার বিষয়ে কথা বলতে চান জানিয়ে তার সঙ্গে জনিকে যেতে বলেন।
তিনি জানান, জনি তার সঙ্গে কোথাও যেতে রাজি হচ্ছিলেন না। পরে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম মো. বুলবুলের বাসার নিচে গিয়ে কথা বলতে রাজি হন। বুলবুলের বাসায় যাওয়ার জন্য নিচে নামতেই পুলিশ জনিকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়।
জনিকে আটকের খবরে সেখানে ছুটে যান বিএনপি নেতা ইশরাক। তবে ততক্ষণে পুলিশ ভ্যানটি জনিকে নিয়ে চলে যায় বলে জানান মুক্তা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের সমর্থনে লিফলেট বিতরণের সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ইশরাকের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। ইশরাক ওই ঘটনায় ছাত্রলীগকে দায়ী করে আসছেন।