হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির সরকারি বাসভবনে হামলা চালিয়েছে দেশটির পুলিশ পরিচয় দেয়া সদস্যরা। আর্জেন্টিনা সফর শেষে দেশে ফিরলে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভের মুখে বিমানবন্দরে ফিরে যেতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বেসামরিক পোশাকের ওই সব পুলিশ সদস্যরা। সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান জাতির ওপর দখল বাড়াতে সশস্ত্র গ্যাং পুলিশ কর্মকর্তাদের হত্যা করলে তার প্রতিবাদে এই হামলা ও বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, বেসামরিক পোশাকে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয়া বিক্ষোভকারীরা প্রথমে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির সরকারি বাসভবনে হামলা চালায়। পরে হেনরি আর্জেন্টিনা সফর থেকে আসলে বিক্ষোভ করে তাঁকে বিমানবন্দরে ঢুকে যেতে বাধ্য করে।
এতে হেনরি সাময়িকভাবে বিমানবন্দরে আটকা পড়ে যান। যদিও বৃহস্পতিবার পরে পোর্ট-অ-প্রিন্সে তাঁর বাসভবনে ফিরে আসেন।
রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী তাঁর বাড়ির কাছে ভারী গুলির শব্দ শুনেছেন। যদিও এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে হাইতির জাতীয় পুলিশ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দেয়নি।
পোর্ট-অ-প্রিন্সের চারপাশের রাস্তা এবং উত্তরের বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভকারীরা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল।
মার্কিন সরকারের একদল কর্মকর্তা সেই সময়ে হাইতি সফর করছিলেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, ওয়াশিংটনের সমস্ত কর্মীদের হিসাব করা হয়েছে এবং তারা সতর্কতা হিসেবে কিছু সভা থেকে সরে এসেছেন।
বৃহস্পতিবারের শেষ দিকে বাহামাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা পরিস্থিতির অনুমতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার কূটনৈতিক কর্মীদেরসহ সমস্ত বাহামিয়ানদের হাইতি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। হাইতির পুলিশ দিনের শুরুতে প্রতিবেশী দেশটির স্থানীয় ডি’অ্যাফেয়ার্সকে থামিয়ে দিয়েছিল এবং তাদের গাড়ি ও অস্ত্র নিয়েছিল। যদিও সমস্ত কূটনীতিকরা নিরাপদ ছিলেন। পাশাপাশি পাঁচজন নাগরিক বিমানবন্দরের চারপাশে আটকা পড়েছিলেন।
হাইতির জাতীয় পুলিশ এবং স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, গেলো সপ্তাহে রাজধানীর কাছাকাছি চারজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ভিটেলহোমে সশস্ত্র গ্যাং হত্যা করে। বুধবার লিয়ানকোর্ট শহরে স্যাভিয়েন গ্যাংয়ের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আরও সাতজন কর্মকর্তা নিহত হন।