আর্কাইভ থেকে খেলাধুলা

ধূমপান করায় শাস্তির মুখে সুজন

ধূমপান করায় শাস্তির মুখে সুজন
বিপিএলে নিজেদের শেষ ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। নিজের ভুলে আনন্দের দিনটা মাটি করলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তার আবিষ্কার হাবিবুর রহমান সোহান শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি)  রাতে  শেরে বাংলায় দেখালেন ব্যাটিং তাণ্ডব। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জয়ের হাসি নিয়ে শেষ করলো এবারে পুরো বিপিএলেই ধুঁকতে থাকা খুলনা টাইগার্স। কিন্তু এ সাফল্যের আনন্দটা উপভোগ করতে পারলেন না খুলনার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। খেলা চলাকালীন ড্রেসিংরুমে ধূমপান করে রীতিমত নিন্দিত ও সমালোচিত জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে ধূমপানরত সুজনের ছবি ভাইরাল। শুধু লোক নিন্দার মুখে পড়া নয়। এমন কাজ করে অনিবার্য শাস্তির অপেক্ষায় সুজন। তার অর্থদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার পরে দেবব্রত জানান, তিনি শেরে বাংলা স্টেডিয়াম থেকে খেলা শেষে ফেরার পর মোবাইলে ফুটেজটি দেখেছেন। এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে চাননি দেবব্রত। শুধু বলেছেন, ড্রেসিংরুমে ধূমপান ক্রিকেটীয় স্পিরিটের পরিপন্থী অবশ্যই। এই ক্ষেত্রে খালেদ মাহমুদের কী শাস্তি হতে পারে? জানতে চাইলে ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পালের কথা, 'আমি শুধু ফুটেজ দেখেছি। এ নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ ক্ষেত্রে হয় মৌখিক সতর্ক, না হয় ম্যাচ ফি কর্তনের সম্ভাবনাই বেশি। সূত্র আরও জানায়, সাধারণত বয়সে তরুণ ও অনভিজ্ঞদের কেউ এমন কাজ করলে তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়। কিন্তু খালেদ মাহমুদ সুজন তো অনেক অভিজ্ঞ। জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও অধিনায়ক ছিলেন। জাতীয় দলের ম্যানেজার, সহকারী কোচের ভূমিকায়ও ছিলেন। টিম ডিরেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদেও আসীন। আর বিপিএলের শুরু থেকেই তিনি কোচ। তাই তার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেট ব্যক্তিত্বর ড্রেসিংরুমে ধূমপান কিছুতেই মানায় না। তাই সুজনের অর্থদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ম্যাচ ফির ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কাটা যেতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ধূমপান | করায় | শাস্তির | মুখে | সুজন