Connect with us

দুর্ঘটনা

হাওরে নৌকা ডুবি : নিখোঁজ দুই বোনের লাশ উদ্ধার

Published

on

সুনামগঞ্জের শাল্লায় উপজেলার বড়ছাপটার হাওরে নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ থাকা আপন দুই চাচাতো বোনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার (৬ আগস্ট) দুপুরে বড়চাপটার হাওরে দুটি লাশ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয় লোকজন শাল্লা থানাকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মির্জাকান্দা গ্রামবাসীর সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার বাহারা ইউনিয়নের মির্জাকান্দা গ্রামের মো. শিশু মিয়ার মেয়ে মোছা. চাদঁনী বেগম (১৪) এবং মো. ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে সাবিনা বেগম (১৭)। নিহতরা আপন চাচাতো বোন ও পাশাপাশি তাদের বসতঘর। নৌকা ডুবিতে আপন দুই চাচাতো বোনের মৃত্যুর ঘটনায় নিহতদের দুই পারিবারে শোকের মাতম চলছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জাান যায়, ৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়নের মির্জাকান্দা গ্রামের মোছা. চাদঁনী বেগম (১৪) ও তার চাচাতো বোন সাবিনা বেগম (১৭)সহ ছয় জন যাত্রী একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার গজারিয়া গ্রামের বোনের বাড়িতে থেকে মির্জাকান্দায় ফিরছিল। বাড়িতে আসার সময় বৃহস্পতিবার বিকালে বড়চাপটার হাওরে ঝড়ের কবলে পড়ে তাদের নৌকাটি হাওরে ডুবে যায়। এ সময় নৌকার মাঝিসহ চারজন যাত্রী সাতাঁর কেটে হাওরের তীরে গ্রামের উঠতে সক্ষম হন। কিন্তু দুই চাচাতো বোন হাওরের পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন ও স্বজনরা হাওরে রাতভর তাল্লাশী করলেও নিখোঁজ দুইবোনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

আজ শুক্রবার দুপুরে হাওরে দুটি লাশ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে গ্রামবাসীর সহায়তায় পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে। এবং লাশের লাশের ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

Advertisement

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরে আলম জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকা ডুবিতে দুই চাচাতো বোন হাওরে নিখোঁজ হয়েছিল। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আজ দুপুরে হাওর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 

 

চট্টগ্রাম

৩৭ যাত্রী নিয়ে বাস পড়লো পুকুরে

Published

on

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরের পানিতে পড়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও কোনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। আহতরা প্রাথমিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। এখনো কেউ মারা যায়নি।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ফকির বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জগামী আল আরাফাহ পরিবহনের একটি বাস ফকির বাজারের দক্ষিণে আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বুড়ির বাড়ির পুকুরে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক বাসের ডানদিক দেবে গেলে বাম পাশ দিয়ে কিছু যাত্রী তড়িঘড়ি করে বের হন। আবার ডান দিকের কয়েকজন যাত্রী গ্লাস ভেঙে পানিতে সাঁতার কেটে পাড়ে ওঠেন। বাসে ৩৭ জন যাত্রী ছিলেন।

বাসের যাত্রীরা জানান, বাসটি দ্রুত গতিতে চলায় সড়কের ভাঙ্গা স্থানে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে বাসটি পুকুরে পড়ে।

ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মিন্টু দত্ত গণমাধ্যমে বলেন, হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। কোনো যাত্রী পুকুরে পড়ে আছে কিনা- সেটা দেখতে আমাদের জেলা পুলিশের রেকার দিয়ে পুকুরে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আরও অনুসন্ধানের জন্য কুমিল্লা থেকে আরেকটি রেকার আনা হচ্ছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

অটোরিকশার পেছনে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কা, নিহত ১

Published

on

গাজীপুরের মাওনা- কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে দ্রুতগতির মালবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার ১ যাত্রী নিহত হয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছে আরও ৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কালিয়াকৈর টু ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়কের চাপাইর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত হলেন, টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার আজগানা গ্রামের মীর মুসার ছেলে মীর আলম (৪০)।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মির্জাপুর উপজেলার আজগানা এলাকা থেকে একটি অটোরিকশাযোগে ৫ যাত্রী নিয়ে কালিয়াকৈরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। চাপাইর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আসা একটি কাভার্ডভ্যান একই পাশে থাকা অটোরিকশাকে অভারটেক করার সময় আজগানা থেকে ছেড়ে আসা অটোরিকশায় সজোড়ে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি যাত্রীসহ দুমড়ে-মুচড়ে কাভার্ডভ্যানের নিচে চলে যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘণ্টার চেষ্টার পর অটোরিকশাটি কেটে যাত্রীদের বের করা হয়। ঘটনাস্থলেই মীর আলম নামে ওই শ্রমিক মারা যান। এ সময় চালক হাবিব, আলামিন, মনির, পারভিনসহ আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। যাত্রীরা সবাই উপজেলা বোর্ড এলাকার জিএমএস কারখানার শ্রমিক বলে জানায় পুলিশ।

Advertisement

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ঘাতক কাভার্ডভ্যানের আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা চলমান।ৎ

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

কালিয়াকৈরে ভয়াবহ আগুন, শতাধিক কলোনি পুড়ে ছাই

Published

on

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দিন দুপুরে একটি টিনসেড কলোনিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই কলোনির শতাধিক কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।

শুক্রবার (২৪ মে) দুপুর ১ টা ১৫ মিনিটের দিকে উপজেলার মৌচাক তেলিরচালা এলাকায় একাধিক মালিকানাধীন কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, শুক্রবার দুপুর ১ টা ১৫ মিনিটের দিকে ওই কলোনির একটি কক্ষ থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় কলোনিতে থাকা বাসিন্দারা চিৎকার চেচামেচি করলে লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্ঠা করে। ততোক্ষণে আগুন ভয়াবহ হয়ে উঠে। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের ৩ টি ইউনিট ও কোনাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে কলোনির বিভিন্ন কক্ষে থাকা মালামাল পুড়ে যায়।

কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন রায়হান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version