Connect with us

অপরাধ

ঢাকায় ৯০ শতাংশই নকল হিজড়া

Published

on

যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নকল হিজড়া চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। অথচ তারাই হিজড়া সেজে রাস্তায় বের হন চাঁদাবাজি করতে।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, চক্রটির প্রধান কাজল ওরফে সজনি হিজড়া। তার আসল নাম সোহাগ। দুই সন্তানের জনক সোহাগের রয়েছে সাত থেকে আটজনের চক্র। তারা চাঁদাবাজিসহ মানুষকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিলেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীতে ৯০ ভাগই নকল হিজড়া। শুধু রাস্তায় বা বাসায় চাঁদাবাজি নয়, অপহরণের মাধ্যমেও সোহাগের চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। এমনকি চাঁদাবাজির টাকা চড়া সুদে খাটানোরও প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

 

Advertisement

অপরাধ

ডাক্তারের সই জাল করে সবকিছু লিখে দিতো মিল্টন সামাদ্দার

Published

on

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সামাদ্দারকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিলো। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ মিডিয়াতে এসেছে তার অধিকাংশই স্বীকার করেছে। তার কাছে আশ্রমে ভুয়া ডেথ সার্টিফিকেট (মৃত্যু সনদ) তৈরি করে ডাক্তারের সই জাল করে নিজেই সবকিছু লিখে দিতো। জানালেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর ২টায় রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ডিবি প্রধান বলেন, তার আশ্রমে কোনো ডাক্তার ছিল না। অপারেশন থিয়েটারে সে নিজেই ব্লেড ছুরি দিয়ে কাটাকাটি করতো। আর আশ্রমে আসা অধিকাংশ মানুষজনই প্যারালাইজড কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার কারণে অস্বাভাবিক আচরণ করত। তখন মিল্টন তাদেরকে পিটিয়ে নিস্তেজ না হওয়া পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো।

তিনি বলেন, আমরা তার কাছে এসব নিরীহ মানুষদের পেটানোর বিষয়ে জানতে চেয়েছি। সে আমাদেরকে জানিয়েছে, যখন নির্যাতন করা হতো তখন সে ইয়াবা ও মাদক সেবন করে নিতো। এতে করে তখন তার কোন হিতাহিত জ্ঞান থাকতো না। এই কাজটি যে করা টিক হয়নি সেটিও সে আমাদের কাছে স্বীকার করেছে।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, তার এসব কর্মকাণ্ডের মূল শক্তি ছিল ভিআইপিদের সঙ্গে ওঠা বসা। সে নিজে মনে করতো তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। আরও তদন্তের জন্য তার স্ত্রীকে আবারও জিজ্ঞাসা করা হতে পারে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৬

Published

on

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার (৮ মে) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

এ সময়  ১৩৭৯ পিস ইয়াবা, ৩২ গ্রাম ৭০ পুরিয়া হেরোইন, ৩ কেজি ৮৩০ গ্রাম গাঁজা ও ৭৯ বোতল দেশি মদ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২২টি মামলা রুজু হয়েছে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মিল্টন সমাদ্দারের রিমান্ড শেষ, নেয়া হবে আদালতে

Published

on

রিমান্ড শেষ মানবতার সেবক হিসেবে পরিচিত ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের। বৃহস্পতিবার (৯ মে) তাকে কোর্টে উপস্থাপন করা হবে। রিমান্ডে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে দুপুর ১২টার দিকে বিস্তারিত জানাবেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গেলো ৫ মে রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের করা মানবপাচার আইনের এক মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এদিন বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে মৃত্যুসনদ জালিয়াতির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কামাল হোসেন। এরপর তাকে মানবপাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্রতার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম।

গেলো ১ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর মিরপুর থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে। মিল্টন সমাদ্দার মানবতার সেবক হিসেবে পরিচিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার সেবামূলক কর্মকাণ্ডের রয়েছে ব্যাপক প্রচারণা। যেখানে দেখা যায়, অসহায়-দুস্থ মানুষের সেবায় তিনি গড়ে তুলেন ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের একটি বৃদ্ধাশ্রম। রাস্তা থেকে অসুস্থ ও ভবঘুরেদের কুড়িয়ে ওই বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় দিতেন।

তবে মানবিকতার আড়ালে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ওঠে প্রতারণার তীব্র অভিযোগ। বিশেষ করে তিনি অসহায় মানুষকে আশ্রয় দেয়ার নামে তাদের কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে বিক্রি করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে গেলো ২৫ এপ্রিল দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশ পায়।

Advertisement

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর দক্ষিণ পাইকপাড়ায় মিল্টন সমাদ্দারের বৃদ্ধাশ্রমের কাছেই বায়তুল সালাম জামে মসজিদ। বৃদ্ধাশ্রমে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের একসময় এই মসজিদেই বিনামূল্যে গোসল করানো হতো। তার মানবিক কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ তাকে এই সুবিধা দিয়েছিল। তবে গোসল করানোর সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা প্রায় প্রতিটি মরদেহের বিভিন্ন স্থানে কাটাছেঁড়ার দাগ শনাক্ত করেন।

মিল্টন সমাদ্দারকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন স্থানীয় একটি মাদ্রাসার পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন। তিনি ওই গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মিল্টন এক সময় বাসা ভাড়া দিতে পারতেন না। এখন তিনি এগুলো করে কোটি কোটি টাকার মালিক। দামি গাড়িতে চড়েন। আড়ালে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরি করেন। আমাদের বায়তুল সালাম মসজিদে মরদেহ ফ্রি গোসল করিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিছু মরদেহ গোসল করানোর পর দেখা যায়, সবগুলোর শরীরে কাটা দাগ। এ বিষয়ে মিল্টনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি মরদেহ পাঠানো বন্ধ করে দেন।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মানুষের কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে বিক্রির মতো ভয়ংকর অপকর্মের পাশাপাশি বহু অভিযোগ রয়েছে মিল্টনের বিরুদ্ধে।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version