প্রবাস
দুবাইয়ে বসন্তের হাওয়া রঙিন সাজে মরুর বুক
মরুর বুকে বসন্ত হাওয়া, বসন্তের সাজে রঙিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। বারো মাসে তেরো পার্বণ বাঙালি সংস্কৃতির একটি অংশ। বাঙালিরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই বসবাস করুক না কেন, নিজস্ব সংস্কৃতি বুকে ধারণ করে বেড়ায় সর্বত্র। যতই ব্যস্ত সময় কাটুক বা যতই প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন নিজস্ব সংস্কৃতি পালন করা চাই-ই-চাই। তাই ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে, দূর প্রবাসে থেকেও বসন্ত উৎসব পালন করতে ভোলেননি প্রবাসী নারীরা।
গেলো শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কন্সুলেটে জেনারেল দুবাইয়ে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন এবং তার সহধর্মিনী আবিদা হোসেনের সরকারি বাসভবন বাংলাদেশ হাউজে আয়োজিত ‘বসন্ত উৎসব ২০২৩’ এ যেন বইছিলো বসন্তের হাওয়া। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বসন্তে ফুলের সমারোহ যেমন দেখার মতো, তেমনি বাসন্তী সাজে সেজেছিল আমিরাতের রমণীরা। পড়নে হলুদ শাড়ি, হাতে রঙিন চুড়ি, খোঁপায় ফুল – সব মিলিয়ে এক ভিন্ন আমেজ।
প্রবাস
দুবাইয়ে পশুর হাটে জমে উঠেছে বেচাকেনা
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ের আল-কুসাইস ক্যাটল মার্কেটে পশুর বাজার জমে উঠেছে। আর একদিন পর কোরবানির ঈদে নিজেদের সাধ্যমতো কিনছেন কোরবানির পশু। স্থানীয় আরবদের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও নিচ্ছেন কোরবানির প্রস্তুতি।
দুবাইয়ে অধিকাংশ পশু বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা। আমদানিকৃত দেশ হচ্ছে সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, মিশর, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশ। স্থানীয়ভাবেও বিভিন্ন খামারে পশু পালন করা হয়। তবে ঈদকে ঘিরে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় পশু আমদানি।
বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, গরু, ছাগল, উট এবং দুম্বাসহ বেচাকেনা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন দেশের পশু। দর কষাকষিতে পছন্দসই পশু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। গরুর মূল্য কিছুটা কম হলেও দুম্বার মূল্য তুলনামূলক বেশি। একটি গরুর মূল্য ৩৫০০ দিরহাম থেকে শুরু, আর একটি দুম্বার মূল্য ৫০০ দিরহাম থেকে শুরু।
দুবাইয়ের বাংলাদেশি প্রবাসীরা জানান, ঈদের দিনে দেশকে মিস করলেও প্রবাসী সহকর্মীদের সাথে আনন্দ উপভোগে দেশে পরিবারের সাথে না থাকার অভাব কিছুটা ভোলা যায়।
এএম/
প্রবাস
বাংলাদেশ-দ.আফ্রিকা ম্যাচ: নাসাউ স্টেডিয়াম যেনো এক টুকরো বাংলাদেশ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশি দর্শকদের মধ্যে ছিল তুঙ্গস্পর্শী উত্তেজনা। নিউইয়র্কের ৩৪ হাজার ধারণ ক্ষমতার নাসাউ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশি দর্শকদের ছিলো উপচে পড়া ভিড়। নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের সব পথ যেন মিশে গিয়েছিলো নাসাউ কাউন্ট্রি মাঠে।
গ্যালারিতে যেদিকে চোখ যায় শুধু দুটি প্রিয় রং-লাল ও সবুজ। সঙ্গে ক্ষণে ক্ষণে যৌবন গর্জন। নাসাউ রূপ নেয় মিরপুরে। শুধু নিউইয়র্ক নয়,যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব অঙ্গরাজ্য থেকে খেলা উপভোগ করতে বাংলাদেশি দর্শকরা ভিড় করেন নাসাউ স্টেডিয়ামে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশি বোলারদের পারফরমেন্সে এবং পরে তৌহিদ হৃদয় ও মাহমুদ উল্লাহর ব্যাটিংয়ে সবাই ধরেই নিয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগাররা জয় পাবেন।
তবে নিয়মের গেরোয় যত রান থেকে ‘বঞ্চিত’ হল বাংলাদেশ, শেষ পর্যন্ত ঠিক সেই রানেই হেরে যাওয়ায় যন্ত্রণাটা আরও বাড়ল। আর যে ওভারে সেই রান থেকে ‘বঞ্চিত’ হয় বাংলাদেশ, তার ঠিক পরের ওভারেই ‘টাইগার’-দের বিপক্ষে যায় একটা মারাত্মক ‘ক্লোজ’ এলবিডব্লুয়ের সিদ্ধান্ত। ‘আম্পায়ার্স কল’র কারণে আউট হয়ে যান তোহিদ হৃদয়। ওই সিদ্ধান্তটা যদি বাংলাদেশের পক্ষে যেত, তাহলেও ম্যাচটা জিতে যেতে পারতেন ‘টাইগার’রা।
তাদের পাশাপাশি বিষন্ন মনে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশি দর্শকদেরও। তবে টাইগাররা পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ভাল করবেন- এমন আশায় ফিরে গেছেন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে-নিজ গন্তব্যে।
এমআর//
প্রবাস
দুবাইয়ে রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী উদযাপিত
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বানিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীসহ বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উপলক্ষে “রবীন্দ্র-নজরুল ও বৈশাখ” শিরোনামে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি কবির জন্মজয়ন্তীর এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা।
গেলো শনিবার (৮ জুন ) বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই ও উত্তর আমিরাতের উদ্যোগে কনস্যুলেট হল রুমে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের তাসমিন জান্নাত নিপা ও বাংলাদেশ কমিউনিটির ইয়াসমিন মেরোনা, জসীম উদ্দীন পলাশ, বঙ্গ শিমুল ও রুহিন বেশ কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নজরুলগীতি পরিবেশন করেন। উপস্থিত দর্শকদের তাদের গান মুগ্ধ করে।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও আশফাক হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পীবৃন্দ গান পরিবেশন এবং কবিতা আবৃত্তি করেন।
কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম সবচেয়ে শক্তিশালী উপায়ে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করছেন। এই দুই সাহিত্যিককে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে খ্যাতিমান দুই আলোকিত ব্যক্তি।
তিনি বলেন, প্রবাসে থাকা বাংলাদেশি নতুন প্রজন্ম বাঙালি সংস্কৃতি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারে সে জন্যই তাঁদের এ আয়োজন।
আই/এ
-
ঢালিউড6 days ago
‘এ তো দেখি স্বপ্নে খাবার খাওয়ার মতো ঘটনা’ মিমের উদ্দেশ্যে পরীমণি!
-
বলিউড6 days ago
বয়সে ছোট পাত্রের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে সোনাক্ষী সিনহা!
-
টুকিটাকি6 days ago
৩ দিন নিখোঁজের পর অজগরের পেট থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার
-
অপরাধ7 days ago
সহকর্মীকে হত্যার পর যা বললেন কনস্টেবল কাউসার
-
বাংলাদেশ4 days ago
উত্তরের পথে ১৩ কিলোমিটার সড়কে যানবাহনে ধীরগতি
-
টুকিটাকি4 days ago
৩শ’ টাকার গয়না ৬ কোটিতে কিনলেন তরুণী, অতপর…
-
ঢালিউড6 days ago
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক হলেন অভিনেতা টুটুল চৌধুরী
-
টুকিটাকি6 days ago
৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, না পেয়ে পুলিশের ছেলেকে খুন
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন