ময়মনসিংহ
পুলিশ সদস্যের স্ত্রী মরদেহ মিললো ধানক্ষেতে
ময়মনসিংহ সদরে ধানক্ষেত থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত ওই ব্যাক্তির নাম- মৌসুমী আক্তার (২৫)। তিনি জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার সৈয়দ গ্রামের পুলিশ সদস্য সুজন হাসানের স্ত্রী। তার স্বামী সুজন হাসান নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত আছেন।
আজ বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার দাপুনিয়া গোষ্ঠা পশ্চিমপাড়া এলাকার ধানক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, নিহত মৌসুমী আক্তারের সঙ্গে তার স্বামী সুজন হাসানের পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এসব কারণে মৌসুমী তার বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন মৌসুমী। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান মেলেনি। আজ সকালে সদর উপজেলার দাপুনিয়া এলাকার গোষ্ঠা পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি ধানক্ষেতে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে তার স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে পরিচয় নিশ্চিত করেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ভিক্টিমকে হত্যার পর এখানে এনে ফেলে রেখে গেছে। কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ময়মনসিংহ
পরিচয় মিলেছে গর্তে পাওয়া সেই তিন মরদেহের
ময়মনসিংহের ত্রিশালে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হওয়া নারী ও শিশুদের মরদেহের পরিচয় মিলেছে।
তারা হলেন- আমেনা বেগম (২৫) এবং তার দুই ছেলে আবু বক্কর (৪) ও আনাস (২)।
মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে ত্রিশাল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় রাতেই আমেনা খাতুনের মা হাসিনা খাতুন বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এএসআই জানায়, ৬ বছর আগে মামাতো ভাই আলী হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় আমেনার। আলী হোসেন উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া গ্রামের মো. আবদুল হামিদের ছেলে।
আলী হোসেন অলস প্রকৃতির। যে কারণে কোনো কাজ না করে বেকার থাকতেন। তার স্ত্রী আমেনা মানুষের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে সংসার চালাতেন। সম্প্রতি এনজিও থেকে টাকা তুলেন আমেনা। এনজিওর কিস্তি দেয়া নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।
গেলো ১৬ মে এনজিওর কিস্তি নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়। পরে ওই দিনই স্ত্রী আমেনাকে ঢাকায় কাজে নেয়ার কথা বলে দুই ছেলেসহ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আলী হোসেন। এরপর থেকে আলী হোসেন ও আমেনার ফোন বন্ধ ছিল।
পুলিশের ধারণা, ঢাকায় নেয়ার কথা বলে আলী হোসেন তার স্ত্রী-সন্তানদের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হত্য করে বাড়ির পাশে নির্জনস্থানে মাটির গর্তে পুঁতে রাখেন।
ত্রিশাল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলমগীর বলেন, ঘটনার পর থেকে আলী হোসেন পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া গ্রামে এক নির্জন স্থানে শিয়ালের টানাহেচড়ায় এক নারী ও দুই শিশুকে মাটিতে পুঁতে রাখার সন্ধান পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে এসব মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
টিআর/
ময়মনসিংহ
গর্তে পাওয়া মরদেহগুলো একই পরিবারের, ধারণা পুলিশের
ময়মনসিংহের ত্রিশালে একটি পতিত জমির গর্ত থেকে উদ্ধার করা এক নারী ও দুই শিশুর মরদেহ একই পরিবারের সদস্যদের বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে মরদেহগুলো ক্ষতবিক্ষত হওয়ায় এবং আঙ্গুল না থাকায় তাদের নাম-পরিচয় এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে ত্রিশাল উপজেলার কাকচর নয়াপাড়া এলাকায় ওই তিনজনের মরদেহ পাওয়া যায় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ত্রিশাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন।
স্থানীয়রা জানায়, একটি পুকুরের পাশে পতিত জমিতে তিনজনের মরদেহ পুঁতে রাখা ছিল। হালকা মাটি চাপা দিয়ে আনুমানিক ৬-৭ দিন আগে পুঁতে রাখায় মরদেহ পচে গেছে । দুর্গন্ধ ছড়ানোয় গেলো রাতে শিয়াল গর্ত থেকে মরদেহ বের করে নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা আরও জানান, দুই যুবক মসজিদের দিকে যাওয়ার পথে ক্ষেতের মধ্যে দুই শিশুর মরদেহ এবং ঝোপের ভেতরে ছোট্ট গর্তে হাতের একটি অংশ দেখতে পান। খবর পেয়ে ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। পরে ঘটনাস্থলে আসে থানা পুলিশ,পিবিআই ও র্যাব।
ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, ধারণা করা হচ্ছে সপ্তাহখানেক আগে মরদেহগুলো এখানে পুঁতে রাখা হয়েছে। ত্রিশাল থানায় এমন তিনজনের নিখোঁজের কোনো তথ্য নেই। তাঁদের ধারণা, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা দূরের কোনো এলাকায় ঘটনাটি ঘটিয়ে এখানে মরদেহ পুঁতে রাখতে পারে।
আই/এ
ময়মনসিংহ
গর্ত থেকে দুই শিশুসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার
ময়মনসিংহের ত্রিশালের কাকচর এলাকায় গর্ত খুঁড়ে দুই শিশু ও এক নারীসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা ৩টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় গলিত মরদেহগুলো উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে- কয়েকদিন আগে হত্যার পর তাদেরকে গর্ত করে পুঁতে রাখা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন।
তিনি জানান, নিহতদের নাম-পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। হত্যার কারণ ও তাদের পরিচয় সনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।
কেএস/
-
অপরাধ5 days ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
-
অপরাধ2 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
-
বাংলাদেশ4 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
-
টুকিটাকি4 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
-
জাতীয়3 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
-
অপরাধ4 days ago
এমপি আজীম হত্যা: মূল মাস্টারমাইন্ড কে এই শাহীন
-
ঢাকা6 days ago
নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
-
শিক্ষা6 days ago
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি যেদিন
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন