Connect with us

ক্যাম্পাস

প্রাণের উচ্ছ্বাসে জবি ইতিহাস বিভাগের পুর্ণমিলনী

Published

on

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ইতিহাস বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুর্ণমিলনীতে প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে চলে এই প্রাণের উচ্ছ্বাস। বহুদিন পর ফিরে পাওয়া বন্ধুদের সঙ্গে গল্প, গান, কবিতা আর আড্ডায় সবাই যেন ফিরে পেয়েছিলেন তারুণ্যের সেই ক্যাম্পাস জীবন।

দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামসুন নাহারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমেদ।

উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক তার বক্তব্যে বলেন, ‘অ্যালামনাই হলো বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন কার্যক্রমের একটি অংশ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অ্যালামনাইয়ের অনেক ভূমিকা থাকে। তারা ল্যাবরেটরি করে দেয়। যারা টাকার অভাবে পড়াশোনা করতে পারেনা তাদেরকে সাহায্য করে থাকে। বিভাগের নানা কাজে সহায়তা করে। এছাড়াও বিভাগের সাথে কাজগুলো করার মাধ্যমে একটা সেতুবন্ধন তৈরি করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অ্যালামনাইয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক বন্ধন তৈরি হয়। একে অপরকে সুখে দুঃখে কাছে পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। এর মাধ্যমে অনেক সামাজিক কাজ করার সুযোগ আছে। গরিব, মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আগামী দিনে ইতিহাস বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অনেক দূর এগিয়ে যাবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন উপাচার্য।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম তানভীর আহমেদ এবং উম্মে সালমা হৃদয়।

Advertisement

এছাড়াও অনুষ্ঠানে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়শনে কলেজের সময়কার শিক্ষার্থীদেরকেও সংযুক্ত করার জন্য আহ্বান জানান বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা  ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরায়জী।

ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাখওয়াত বলেন, ‘আজকের সারাটা দিন এত আনন্দে কেটেছে যা ভাষায় প্রকাশ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কত কথা জমা ছিল, সব আজ আমরা প্রাণখুলে বলেছি, শুনেছি, খুনসুটি করেছি। ঠিক যেন ক্যাম্পাস জীবনের শুরুতে ফিরে গিয়েছিলাম।’ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় শিক্ষক এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের শেষে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়শনের একটি নতুন কমিটি গঠনের আহ্বান করা হয়।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

জাতীয়

ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের রায় আপিলে বহাল

Published

on

ফাইল ছবি

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে করা পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার(২৬ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

আদালতে শিক্ষার্থীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। এর আগে, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়।

গত ২১ মে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল থাকবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রথম শ্রেণির ভর্তিতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন আদালত। ওই কমিটিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের একজন প্রতিনিধি ও বুয়েটের একজন আইটি এক্সপার্টকে রাখতে বলা হয়।

পাশাপাশি অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে নির্দেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালত বলেন, ১৬৯ শিশুর ভর্তি নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এক্ষেত্রে অভিভাবকরাও দায় এড়াতে পারেন না।

Advertisement

ভিকারুননিসায় ভর্তি নিয়ে বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগ এনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি ইচ্ছুক দুই শিক্ষার্থীর মা গত ১৪ জানুয়ারি রিট করেন।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিক্ষা

স্কুল বন্ধ থাকা নিয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

Published

on

দুর্যোগকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে স্ব স্ব জেলাগুলো নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে। বললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

রোববার (২৬ মে) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২০২৩-২৪ অর্থ-বছরের সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়ন এবং চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি ও মূল্যায়ন বিষয়ক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসডিজি-৪ এর লক্ষ্য শতভাগ শিক্ষার্থীকে মাধ্যমিক পর্যায়ে নিয়ে আসা। ভবনের নির্মাণ, ক্লাসরুমের ডিজাইন, ফার্নিচারের ডিজাইনে পরিবর্তন আনাও একই সঙ্গে প্রাসঙ্গিক।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যেও চিন্তার পরিবর্তন করতে হবে। তাদের মাঠে নিয়ে আসতে হবে। প্রকৌশলীরা তাদের মনোজাগতিক পরিবর্তন আনতে পারে। প্রতিটি সাইটই শিক্ষার সাইট। মাদ্রাসা, অধিদপ্তর কিংবা বিদ্যালয়ের বিল্ডিং হোক সবখানেই প্রকৌশলীরা আছেন। আমরা দাপ্তরিক কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশে ইনোভেশন হচ্ছে না, কারণ প্রকৌশলীরাও অফিসে বসে কাজ করছে।

তিনি বলেন, শিক্ষা প্রকৌশলের ইঞ্জিনিয়াররাই পরিমিত ব্যয়ের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ করে গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করতে পারেন।

Advertisement

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার। এতে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

রেকর্ড উচ্চতা থেকে স্কাইডাইভ করলেন বাংলাদেশের আশিক

Published

on

সনদধারী স্কাই ডাইভার আশিক চৌধুরী। এবার গড়লেন বিশ্ব রেকর্ড। খুব সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে একটি এয়ারফিল্ড থেকে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ৪১ হাজার ফুট উঁচু থেকে শূন্যে লাফিয়ে পড়ে এই কীর্তি গড়েছেন তিনি। অবশ্য এখন অপেক্ষা করছেন আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য। তবে এরমধ্যে তার এই রেকর্ডের কথা ছড়িয়ে পড়েছে।

উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে গমনের পর থেকেই স্কাইডাইভিংয়ের নেশা আশিককে পেয়ে বসে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেকে পরিণত করার চেষ্টা করতে থাকেন। ২০১৪ সালের দিকে একটি প্রাইভেট প্রশিক্ষণ স্কুলে ভর্তি হন। এরপর আস্তে আস্তে আরো অভিজ্ঞ হয়ে ওঠেন এই বাংলাদেশি।

আশিকের বাবা বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমডোর হওয়ায় বিষয়গুলো তার পরিচিত। ছোটবেলা থেকেই অনেকটা উড়ে বেড়ানোর ইচ্ছা মনের ভেতর লালন করতেন। আর সেটাই এরপর শখের জায়গা থেকে চর্চা করে গেছেন বিভিন্নভাবে।

আশিকের নতুন কীর্তি গড়ার আগে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে তিনি তার উদ্যোগের বিষয়ে কথা বলেন। তিনি এর নাম দেন, ‘দ্য হাইয়েস্ট এভার স্কাইডাইভ উইথ আ ফ্ল্যাগ’- যদিও এর মাধ্যমে আরেকটি রেকর্ডও ভাঙা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেটি হলো ‘গ্রেটেস্ট ডিসট্যান্স ফ্রি ফল উইথ দ্য ফ্ল্যাগ’।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ২৫ মে, সকাল ৮.৪৫ মিনিটের দিকে সফলভাবে স্কাইডাইভ সম্পন্ন করে মাটিতে নেমে আসেন আশিক। গৌরবের এই বিষয়টি দেশবাসীকে উৎসর্গ করেছেন আশিক।

Advertisement

 

এম/এইচ

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version