সুন্দরবনের আমরবুনিয়া এলাকায় আগুন লাগার স্থানে পৌছালেও ঘটনাস্থল  খাল থেকে দুই কিঃমিঃ দূরে হওয়ায় এবং রাত হয়ে যাওয়ার কারণে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। ভোর হলে বনের ভিতরে প্রবেশ করে কাজ শুরু করবে তাঁরা।

শনিবার (৪ মে রাতে) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মোংলা স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়মুজ্জামান  গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কামরুজ্জামান জানান, যেখানে আগুন লেগেছে, সেখান থেকে পানির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। যার কারণে তাঁরা এখন পর্যন্ত আগুন নির্বাপনের কাজ শুরু করতে পারিনি। সন্ধ্যা হওয়ায় তাঁরা ফিরে এসেছেন। রোববার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বনের মধ্যে প্রবেশ করে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করবেন।

আগুন নেভাতে যাওয়া সিপিজি সদস্য মণিময় মন্ডল জানান, বনভূমির বিভিন্ন স্থানে এখনো আগুন জ্বলছে। আগুনের প্রচণ্ড তাপে ভেতরে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি। কাছাকাছি কয়েকটি জায়গার আগুন তাঁরা নেভাতে পারলেও এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন যাতে নতুন এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সন্ধ্যার মধ্যে বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে তাঁরা শুকনো গাছ অপসারণ করেছেন। বিভিন্ন স্থানে ছোট ড্রেন কেটে রাখা হয়েছে। গহীন বনে অনেক হিংস্র প্রাণী আছে। তাই সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আগুন নেভানোর কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

কাদের শেখ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বনের এক থেকে দেড় কিলোমিটার ইতোমধ্যে পুড়েছে। ফায়ার সার্ভিস এখনো কাজ শুরু করতে পারেনি। সারারাত যদি এভাবে পুড়তে থাকে তাহলে কী অবস্থা হবে আল্লাহই জানেন। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছেন যেন প্রচুর বৃষ্টি হয়।

এদিকে আগুন লাগার কারণ এবং ব্যাপ্তি এখনো জানাতে পারেনি বন বিভাগ। ঘটনা তদন্তে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হবে এবং তাদের রিপোর্ট পেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম।

আই/এ

বাগেরহাটের শরণখোলায় পূর্ব সুন্দরবনের গহীনে আগুন লেগেছে। আগুন নেভাতে কাজ করছে বনবিভাগ ও গ্রামবাসী।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে আমরবুনিয়া ও গুলিশাখালী ক্যাম্পের মাঝামাঝি এলাকায় আগুন লেগেছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম।

নুরুল করিম জানান, সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া এলাকায় আগুনের কুণ্ডলি দিয়ে ধোঁয়া উড়তে দেখেন বনকর্মীরা। এরপরই বনকর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। পরে বনকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীও আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন।

তিনি বলেন, তবে আগুন কীভাবে লেগেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বনের ওই এলাকায় কী ধরনের বনজ গাছপালা রয়েছে তাও এখনও বলা যাচ্ছে না। পরে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের ওই কর্মকর্তা।

আই/এ

কুষ্টিয়ার মিরপুরে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। প্রায় দেড় কিলোমিটার মোটরসাইকেলসহ আরোহীকে টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের কাটদহরচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম সাইদুর রহমান। তিনি উপপরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত ছিলেন। মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাইদুর রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি পরীক্ষায় ডিউটি শেষ করে মোটরসাইকেল যোগে ক্যাম্পে ফিরছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে কাটদহরচর প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন এলাকায় রেলক্রসিং পারাপারের সময় ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা দর্শনাগামী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার তাকে ও মোটরসাইকেলটি টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। রেলের ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। রেলক্রসিংটি অরক্ষিত বলে জানা গেছে।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাইদুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

এএম/