এশিয়া
মিয়ানমারে বৌদ্ধ মঠে জান্তার হামলা , নিহত ২৮
Published
1 year agoon
By
বায়ান্ন প্রতিবেদনমিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় শান প্রদেশের নান নেইন গ্রাম ও সেখানকার একটি বৌদ্ধ মঠে বিমান হামলা চালিয়েছে জান্তা।
গেলো শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে ঘটা অতর্কিত সেই হামলায় বৌদ্ধ মঠ ও তার আশপাশের এলাকায় নিহত হয়েছেন ২৮ জন। শান ও পার্শ্ববর্তী কিয়াহ প্রদেশে সক্রিয় জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী কারেন্নি ন্যাশনালিটিস ডিফেন্স ফোর্সের একাধিক নেতা (কেএনডিএফ) এবং ক্ষমতাসীন জান্তার একজন মুখপাত্র বিবিসিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হামলা পরবর্তী একটি ভিডিওচিত্রও বিবিসিকে সরবরাহ করেছে কেএনডিএফ। সেই ভিডিওচিত্রে ২১ জনের মরদেহ দেখা গেছে। তাদের মধ্যে ৩ জন কমলা রঙের কাষায়বস্ত্র (বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের পরিধেয় বস্ত্র) পরিহিত ছিলেন। অর্থাৎ নিহতদের মধ্যে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরাও আছেন। বাকি ৭ জনের দেহ মঠ সংলগ্ন আশপাশের এলাকাগুলো থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
কেএনডিএফের নেতারা জানান, শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে মিয়ানমারের বিমানবাহিনী গ্রামটির আকাশ সীমায় প্রবেশ করে কয়েক দফা গোলাবর্ষণ করে। গ্রামবাসীদের অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে এ সময় পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে আত্মগোপন করেন এবং বেশ কয়েকজন সেই মঠে আশ্রয় নেন।
বিমান বাহিনী এরপর সরাসরি সেই মঠের ওপর গোলাবর্ষণ শুরু করে। তার ফলেই ঘটে হতাহতের এই ঘটনা।
প্রদেশের সীমান্তবর্তী নান নেইন গ্রামটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই গ্রামের ভেতর দিয়েই অস্ত্র ও রসদ সরবরাহ আসে কেএনডিএফের। এ কারণে এই গ্রামটি আগে থেকেই জান্তার বিশেষ নজরে ছিল।
মিয়ানমারের স্থানীয় পত্রিকা কান্তারওয়াদি টাইমসকে কেএনডিএফের এক মুখপাত্র বলেন, একদল মানুষকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করলে যে অবস্থা হয়, (বিমানবাহিনী হামলা চালানোর পর) মঠের চিত্রও ছিল অনেকটা সে রকম।
জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। জেনারেল মিন অং হ্লেইং সেই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। ক্ষমতা দখলের পর সামরিক সরকারের প্রধানও হন তিনি।
সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মিয়ানমারে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ জনগণ। বিক্ষোভ দমন করতে জান্তা প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করলে প্রকাশ্য বিক্ষোভ কমে গেলেও প্রতিবাদী জনতার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ যোগ দেন দেশটিতে সক্রিয় জান্তাবিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনে।
ফলে ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকেই জান্তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম দানা বাঁধে মিয়ানমারে। জান্তাবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামের জেরে ইতোমধ্যে দেশটিতে নিহত হয়েছেন প্রায় ৩ হাজার এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ। এছাড়া প্রায় ৪০ হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে, স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে প্রায় ৮০ লাখ শিশু-কিশোর এবং জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, ৫ কোটি ৩৮ লাখ মানুষ অধ্যুষিত মিয়ানমারে অন্তত দেড় কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা বর্তমানে চরম সংকটে আছে।
কেডিএনএফ মিয়ানমারের একটি শক্তিশালী সশস্ত্র সংগঠন। শান ও কিয়াহ প্রদেশ মূলত এই সংগঠনই নিয়ন্ত্রণ করে। প্রদেশের সীমান্তবর্তী নান নেইন গ্রামটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই গ্রামের ভেতর দিয়েই অস্ত্র ও রসদ সরবরাহ আসে কেএনডিএফের।
শান প্রদেশ পিএ-ও নামে আর একটি সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে। তবে ওই গোষ্ঠীটি জান্তাপন্থী। কেএনডিএফকে দমন করতে পিএ-ও’কে জান্তা বিভিন্নভাবে মদত দিচ্ছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন কেএনডিএফের নেতারা। শনিবারের হামলার ক্ষেত্রে পিএ-ও সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিল বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনীও শনিবারের হামলার ঘটনা স্বীকার করেছে। নান নেইন গ্রামের নিকটবর্তী সাউং পিয়াং সেনানিবাসের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, কারেন্নি গোষ্ঠী কয়েকটি গ্রাম দখল করেছিল। তাই মিয়ানমার সেনাবাহিনী সেখানে অভিযান চালিয়েছে।
অন্যরা যা পড়ছেন
-
টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
-
‘গাজায় ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে লন্ডনকে পাশে চায় ঢাকা’
-
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
-
বিএনপি কখনো পরাজিত হবে না : ফখরুল
-
রাজধানীর নিকুঞ্জে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, আহত ১
-
এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু
-
নিজ ঘর থেকে আড়াই বছরের শিশুর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার
-
কক্সবাজারে ১০ কেজি গাঁজাসহ যুবক গ্রেপ্তার
-
তিন ঘণ্টা পর সিলেটের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
এশিয়া
ইসরায়েলের সাথে সব বাণিজ্য স্থগিত করলো তুরস্ক
Published
8 hours agoon
May 3, 2024By
জাকির হোসাইনগাজা উপত্যকায় ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’কে কারণ হিসেবে উল্লেখ করে ইসরায়েলের সাথে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করেছে তুরস্ক। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েল গাজায় ‘বাধাহীন ও যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ প্রবাহ’ অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত এ পদক্ষেপ বহাল থাকবে।
এক বিবৃতিতে তুরস্ক জানিয়েছে যে এই বাণিজ্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত সব ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, তুরস্ক কঠোরভাবে ও সন্দেহাতীতভাবেই নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে যতদিন পর্যন্ত ইসরায়েল সরকার গাজায় বাধাহীন ও পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবাহের অনুমোদন না দেয়।
দেশ দুটির মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ‘স্বৈরশাসক’ এর মতো আচরণের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন।
সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাৎয বলেন, এরদোয়ান ‘তুরস্কের জনগণ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে অসম্মান করেছেন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সমঝোতাকে উপেক্ষা করেছেন’।
তিনি জানান, মন্ত্রণালয়কে ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন যে তুরস্কের সাথে বাণিজ্যের বিকল্প সন্ধান করতে যাতে স্থানীয় উৎপাদন এবং অন্য দেশ থেকে আমদানিতে জোর দেয়া হবে।
১৯৪৯ সালে প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় তুরস্ক। তবে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
২০১০ সালে গাজায় তুরস্ক মালিকানাধীন জাহাজ ইসরায়েলের সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করার সময় ইসরায়েলি কমান্ডোদের সাথে সংঘর্ষে দশজন ফিলিস্তিনপন্থী তুর্কি অধিকারকর্মী নিহত হবার ঘটনায় তুরস্ক কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন করেছিলো।
পরে ২০১৬ সালে আবার দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনস্থাপন হয়। কিন্তু এর দুই বছরের মাথায় উভয় দেশ একে অন্যের শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে গাজা সীমান্তে ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনি নিহত হবার ঘটনায়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গেলো সাতই অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করে আসছেন।
তিনি বলেছেন, হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে সামরিক অভিযান চালিয়েছেন তা ‘হিটলার যা করেছিলো তার চেয়ে কোন অংশে কম নয়’।
জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘এরদোয়ান, যিনি কুর্দিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটিত করেছেন এবং যিনি তার শাসনের বিরোধিতা করায় সাংবাদিক বন্দীর ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড করেছেন, তিনিই হলেন শেষ ব্যক্তি যিনি আমাদের নৈতিকতা শেখাচ্ছেন’।
গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়ছে। জাতিসংঘ সমর্থিত এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে গত মাসে এগার লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় জর্জরিত ছিলো এবং এ মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ বলেছে, গাজা উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী যে পিয়ার নির্মাণ করেছে ত্রাণ প্রবাহ বাড়ানোর জন্য সেটি কয়েকদিনের মধ্যেই উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
ভাসমান ওই পিয়ারে নৌযান ও লোকজনের কাজের ছবিও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার কাছেই নৌবাহিনীর জাহাজ ছিলো।
যদিও জাতিসংঘ বলেছে সামুদ্রিক করিডোর কখনো স্থলপথে ত্রাণ সরবরাহের বিকল্প হতে পারে না। আর সড়কপথ হলো একমাত্র উপায় যেখানে একসাথে অনেক পরিমাণ ত্রাণ নেয়া যায়।
এর আগ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বারংবার অনুরোধের প্রেক্ষাপটে চলতি সপ্তাহে গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহের জন্য ইসরায়েল ইরেয ক্রসিং আবার খুলে দিয়েছে। তবে জর্ডান বলেছে তাদের কিছু ত্রানবাহী লরি ওই ক্রসিং পার হওয়ার সময় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার শিকার হয়েছে।
জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে গাজার মানবিক বিপর্যয় একটি মানব সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সিনিয়র কর্মকর্তা ভলকার তুর্ক বিবিসিকে বলেছেন যে এটা এখন ‘বিশ্বাসযোগ্য’ যে ইসরায়েল ক্ষুধাকে গাজা যুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
ইসরায়েল ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি গাজায় যাদের প্রয়োজন তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘের বিরুদ্ধে।
জেএইচ
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে জিম্মি ও বন্দী বিনিময় নিশ্চিত করতে আলাপ-আলোচনা চলছে। তিন দফায় একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুই পক্ষের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চালাচ্ছে মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার। সম্প্রতি ওই দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির একটি খসড়া লেবাননের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল-মায়েদিনের কাছে পৌঁছেছে।
এরই ভিক্তিতে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, খসড়া প্রস্তাবে মূলত তিনটি ধাপে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। এতে শুধুমাত্র জিম্মি ও বন্দীদের বিনিময়ের কথা বলা হয়নি, গাজাসহ এই অঞ্চলের শান্ত পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়টিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ি, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার পূর্বাংশে সরে যাবে এবং ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের দখল করা সীমান্তে চলে যাবে। এসময় দৈনিক অন্তত ৮ ঘণ্টা ইসরায়েলি সামরিক বা বেসামরিক বিমান গাজার আকাশে উড়বে না। বন্দী-জিম্মি বিনিময়ের দিন অন্তত ১০ ঘণ্টা আগে থেকে কোনো ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান উড়বে না।
প্রথম ধাপের ৭ম দিনে ইসরায়েলি বাহিনী আল-রশীদ স্ট্রিট থেকে আরও পূর্ব দিকে সরে যাবে। এই সময়ে গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা চালু এবং বেসামরিক গাজাবাসীকে তাদের নিজ বাড়িতে ফেরার সুযোগ দিতে হবে।
প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির ২২ দিনের মধ্যে হামাসের হাতে জিম্মি এক-তৃতীয়াংশ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং এই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী সেন্ট্রাল গাজা থেকে সরে গিয়ে গাজা-ইসরায়েল বিভক্তকারী সীমানায় চলে যাবে। এই সময়ে বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী নিজ বাড়িতে ফিরতে থাকবে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে হামাস তাদের হাতে জীবিত থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। ইসরায়েলি একজন জিম্মির বিপরীতে ২০ জন করে বন্দী ফিলিস্তিনি নারী বা শিশু মুক্তি পাবে। আর এই মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের আর কখনোই গ্রেপ্তার করবে না মর্মে ইসরায়েলকে নিশ্চয়তা দিতে হবে।
তবে হামাসের হাতে জিম্মি প্রত্যেক ইসরায়েলি নারী সেনার বিপরীতে ৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে বাধ্য থাকবে ইসরায়েল।
খসড়া প্রস্তাব অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস এবং পরবর্তীতে প্রতি তিন দিন পরপর ৩ জন করে ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাবে।
এ ছাড়া, যুদ্ধবিরতির ১৪ তম দিনে যুদ্ধাহত হামাস যোদ্ধাসহ অন্যান্য সশস্ত্র সদস্যদের রাফাহ হয়ে মিসরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্যই এই ব্যবস্থা। প্রথম ধাপের ১৬ তম দিনে হামাস ও ইসরায়েল পরোক্ষ আলোচনা শুরু করবে যাতে এই অঞ্চলকে শান্ত রাখা যায়। প্রথম ধাপের প্রতিটি পর্যায়ে জাতিসংঘ ও এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংগঠনসহ সবাই গাজা উপত্যকায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করবে।
প্রস্তাবিত খসড়া অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপেই গাজার বিধ্বস্ত অবকাঠামো পুনরায় গড়ে তুলতে কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য একটি সমন্বয়কারী কমিটি গঠন করে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স ফোর্সকে প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। এছাড়া, নিজ ভূমিতে বাস্তুচ্যুত হওয়াদের জন্য অস্থায়ী আবাস গড়ার কথাও বলা হয়েছে ওই খসড়া চুক্তিতে।
যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের মেয়াদ হবে ৪২ দিন। এসময় উভয় পক্ষই একটি স্থায়ী স্থিতাবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঐক্যমতে পৌঁছবে। এছাড়া, এই ধাপে বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নেওয়াসহ তা বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব আয়োজন নিশ্চিত করা হবে।
তৃতীয় ধাপের মেয়াদও হবে ৪২ দিন। এসময় উভয় পক্ষের হাতে থাকা নিহত হামাস যোদ্ধা বা ইসরায়েলি সেনাদের মরদেহ বিনিময় করা হবে। গাজা গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। এসময় ফিলিস্তিনের হামাসসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো গাজায় কোনো সামরিক অবকাঠামো গড়ে তোলা থেকে বিরত থাকবে বলে খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়।
তৃতীয় ধাপে চলার সময় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন বা পক্ষগুলো যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করার কোনো সরঞ্জাম, কাঁচামাল বা অন্যান্য উপাদান আমদানি করতে পারবে না। আল-মায়েদিনের প্রাপ্ত নথিতে জানা গেছে, এই চুক্তির গ্যারান্টার বা নিশ্চয়তাদানকারী হচ্ছে- কাতার, মিশর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এমআর
আসছে হজ মৌসুমে এবার হজযাত্রীদের জন্য নতুন নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে সৌদি সরকার। প্রত্যেক হজযাত্রীকে আলাদা করে একটি ডিজিটাল ট্যাগ দেওয়া হবে। মূলত বৈধ ও অবৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে সৌদি সরকার এই অভিনব উদ্যোগ নিচ্ছে।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিবন্ধন ছাড়া যাতে অবৈধভাবে কেউ হজ করতে না পারে তার জন্য বৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে প্রত্যেককে আলাদা করে একটি ডিজিটাল ট্যাগ দেওয়া হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের হজযাত্রীদের প্রথম দলটি সৌদি আরবে পৌঁছাবে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে। ঠিক তার আগেই অবৈধ বিদেশি হজযাত্রীদের রুখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হলো।
সৌদি আরবের হজবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় বৈধ হজযাত্রীদের জন্য এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে সৌদি আরবে যাওয়া হজযাত্রীদের প্রত্যেককে একটি করে ডিজিটাল নুসুক কার্ড দেওয়া হচ্ছে। ডিজিটাল এই নুসুক কার্ডে সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীর প্রয়োজনীয় সব তথ্য মজুত থাকবে এবং কেউ চাইলে এই ডিজিটাল কার্ড অবশ্যই প্রদর্শন করে হজের জন্য পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন। এ ছাড়া, হজের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালনেও বিভিন্ন জায়গায় এই ডিজিটাল কার্ড প্রদর্শন করতে হবে বলে সৌদি হজবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
সৌদি আরবের এই মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, নিজ নিজ দেশে হজযাত্রীদের জন্য ভিসা ইস্যু করার পর এই কার্ড সংশ্লিষ্ট হজ অফিস বিদেশি হজযাত্রীদের কাছে হস্তান্তর করবে। এ ছাড়া, স্থানীয় সৌদি হজযাত্রীরা দেশটির সংশ্লিষ্ট সরকারি কার্যালয় থেকে এই কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। সৌদির হজ মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটেও তুলে ধরা হয়েছে বিস্তারিত তথ্য।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত মাসের শেষ দিকে হজযাত্রীদের প্রতারণা থেকে বাঁচাতে অননুমোদিত হজ অপারেটর ও ভুয়া অ্যাপের ব্যাপারে সতর্ক করে সৌদি সরকার। পাশাপাশি দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ব্যবহারের প্রতিও গুরুত্বারোপ করে।
চলবি বছরের রমজানে ওমরাহ যাত্রী অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি ছিল। আবহাওয়া কিছুটা ঠাণ্ডা থাকায় লাখো মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। বিশাল সংখ্যক ওমরাহ যাত্রীর চাপ সামলাতে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে সৌদি প্রশাসনের। তাই বাধ্য হয়ে সৌদি সরকার ঘোষণা দিয়েছেন, রমজানে একবারের বেশি কেউ ওমরাহ পালন করতে পারবে না।
এমআর//
জাতীয়
সাগরে নেই মাছ, খালি হাতে কূলে ফিরছেন জেলেরা
গভীর সাগরে দেখা নেই মাছের। জাল ফেললেও মিলছে না সামুদ্রিক মাছ। ফলে শূন্য ট্রলার নিয়ে সাগর থেকে ফিরছেন কক্সবাজার উপকূলের...
গাঁজার চালান নিতে এসে দেবর-ভাবি গ্রেপ্তার
কুরিয়ার সার্ভিসে আসা গাঁজার চালান ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে দেবর-ভাবিকে আটক করেছে বরগুনার আমতলী থানা পুলিশ। গেলো বৃহস্পতিবার রাত ৯টায়...
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
কুষ্টিয়ার মিরপুরে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। প্রায় দেড় কিলোমিটার মোটরসাইকেলসহ আরোহীকে টেনে নিয়ে...
আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের দাবিতে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের মৌলিক...
শনিবার যেসব জেলায় স্কুল-মাদরাসা বন্ধ
তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আগামীকাল শনিবার (৪ মে) দেশের ২৫ জেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।...
টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন...
জামিনে মুক্ত হলেন মাওলানা মামুনুল হক
জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ইসলামবিষয়ক বক্তা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। আজ শুক্রবার...
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ
গাজীপুরে জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের ৫ টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। আহত...
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজ্যুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। রেজ্যুলেশনটিতে ১১২টি দেশ কো-স্পন্সর করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার...
মুক্তি পাননি মামুনুল হক, কখন পাবেন জানালো কারা কর্তৃপক্ষ
ইসলামবিষয়ক বক্তা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বৃহস্পতিবার(২মে) রাতে মুক্তি পাননি। ওই রাতেই তার...
ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় জাল নোট তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ৩
টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে যারা
আইপিএল থেকে ফিরে ধোনির প্রতি মোস্তাফিজের কৃতজ্ঞতা
হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী রিমু
সাগরে নেই মাছ, খালি হাতে কূলে ফিরছেন জেলেরা
ট্রেন দুর্ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ তিনজন বরখাস্ত
গাঁজার চালান নিতে এসে দেবর-ভাবি গ্রেপ্তার
এবার অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
‘দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে মীরজাফর হিসেবে চিনবে’
এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!
রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
সন্তানদের নিয়ে মসজিদে ঘুমন্ত ইমামকে পিটিয়ে হত্যা
ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
-
বাংলাদেশ7 days ago
এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!
-
আবহাওয়া6 days ago
রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি
-
ঢাকা3 days ago
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
-
টুকিটাকি4 days ago
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
-
অপরাধ2 days ago
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
-
দেশজুড়ে2 days ago
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
-
খুলনা5 days ago
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
-
আন্তর্জাতিক1 day ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন